Samakal:
2025-09-18@06:54:01 GMT

সিনথিয়াকে লেখা জন লেননের চিঠি

Published: 9th, February 2025 GMT

সিনথিয়াকে লেখা জন লেননের চিঠি

১৯৬২ সালের কথা। বিটলস তখনও বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠেনি। কিশোরদের ব্যান্ড হিসেবেই এর সদস্যরা পারফর্ম করতে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখান থেকে প্রেমিকা সিনথিয়ার প্রতি নিয়মিত চিঠি লিখতেন ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা ও কিংবদন্তি রকস্টার জন লেনন। তারুণ্যের আবেগমাখা সেই চিঠিগুলোর একটির চুম্বক অংশ হাজির করলেন ফাহমিদা রিমা

প্রিয় সিনথিয়া, আমি তোমাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি এবং ভালোবাসি। সেই সঙ্গে পাগলের মতো ভীষণ মিস করি। কোথায় যে আছো তুমি, আমার বাচ্চাটা! .

.. এখন যে ক্লাবে আমরা বাজাচ্ছি, সেই ক্লাবটা ব্যাপক। এক রাতে মাত্র তিন ঘণ্টা পারফর্ম করি তো পরের রাতে চার ঘণ্টা করতে হয়। এক ঘণ্টা বাজানোর পর মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি। ফলে সময়টিকে খুব বেশি দীর্ঘ মনে হয় না আমাদের।

হায় ওপরওয়ালা, এখন সকাল ৬টা; এখনই তোমাকে লিখতে হচ্ছে। আমি জেনেছি, কাল পোস্ট অফিস বন্ধ। ফলে সারারাত পারফর্ম করে আসার পরও ঘুমকে বিদায় জানিয়ে লিখছি এ চিঠি। তোমাকে ভালোবাসি বাচ্চাটা! এখানে থাকতে আমার একদমই ইচ্ছে করছে না। 
...এখানে আসার পর গলাটা বসে গেছে আমার। যতদূর মনে পড়ে, আসার আগেই বারোটা বেজেছিল গলার! সেরে উঠবে বলে মনে হচ্ছে না। তোমাকে ভালোবাসি, সিনথিয়া পাওয়েল।

যদি পারতাম, রোববারের পত্রিকা হাতে নিয়ে, শিহরণ জাগিয়ে তোমার ফ্ল্যাটে চলে আসতাম! ওহ, জানাতে ভুলে গেছি, চমৎকার একটি বেল্টওয়ালা ওভারকোট কিনেছি আমি। ফলে আমাকে এখন তোমার মতোই দেখাচ্ছে! পল ম্যাকার্টনি এখন আমার মাথার ওপর বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। ওর বিছানাটা আমার ঠিক মাথার ওপরে। ওর নাক ডাকার শব্দ আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলছে! চিঠিটা লেখার জন্য জুৎসই কোনো জায়গা খুঁজে না পেয়ে, সিঁড়ির গোড়ায় বসে তোমাকে লিখছি এখন, বুঝলে ক্যাপ্টেন?

... তোমার নতুন রুমটা দেখার তর সইছে না আমার। ভাবছি চিপস ও সিগারেট হাতে নিয়ে প্রথমবার যখন দেখব, কী আনন্দই না হবে! বাড়ি ফেরার পর আমাকে নিয়মিত ধূমপায়ী হতে দিও না প্লিজ, মিস পাওয়েল। হুম, তোমার আর ডটের আড্ডাবাজি আমি বেশ কল্পনা করতে পারছি। এটি তোমাকে ঘিরে আমার দুশ্চিন্তা খানিকটা হলেও কমিয়ে রাখছে। তোমাকে ভালোবাসি সিন, তোমাকে মিস-মিস-মিস করছি মিস পাওয়েল। হামবুর্গে আমাদের একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো এখন খুব বেশি মনে পড়ছে। আসল ব্যাপার হলো, তোমার কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না আমি।

...ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, এখন কী লিখব। কালকে তো কোনো চিঠি পাঠাতে পারব না; কী যে হবে! যাই হোক, এবার শুভদুপুর বলে বিদায় নিই, সিন; ভালোবাসি তোমাকে, হুম-হুম! তুমি কি আমাকে প্রাণবন্ত কিছু শব্দ লিখে পাঠাবে? খুব বেশি কিছু তো চাইনি! সোমবারের রাতটা শেষ হলো মাত্র। গতরাতে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা পারফর্ম করেছি। আমার প্রায় মরার দশা, প্রিয়তমা; তুমি রাগ করো না, চিঠিটা শেষ করে একটা শান্তির ঘুম দিতে হচ্ছে বলে। যদিও তুমি নেই পাশে, তবু ঘুমটা ভালোই হবে: এ কথা শুনে তুমি আবার কষ্ট পেও না; জানোই তো, আমি ভীষণ-ভীষণ ক্লান্ত। ...তোমার জন্যই আজীবনের ভালোবাসা আমার। - ইতি, জন

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ