‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও চলছে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষ এ অভিযানে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তারা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

১৪ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। আটকদের মধ্যে আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল করিম, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেত নূর মোহাম্মদ ওরফে খুইল্লা মিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি আয়েশা সিরাজ, শ্রমিক লীগ নেতা নুরুল আলম, কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকতার কামাল সোহেল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা, সাইফুল, পেকুয়া রাজাখালী ইউনিয়ন সৈনিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান, ছাত্রলীগের নেতা মো.

তুহিন।

শুক্রবার গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সেদিন রাত থেকেই যৌথ বাহিনী বিশেষ এই অভিযান শুরু করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের