ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
Published: 16th, September 2025 GMT
ফরিদপুরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি আগামী শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পর এবং দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানুষের ভোগান্তি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের নেতা পলাশ মিয়া বলেন, “যদি আগামী রবিবারের মধ্যে তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে তারা আবারো লাগাতার আন্দোলনে নামবেন। তাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কাউকে হয়রানি করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
সোমবারের (১৫ সেপ্টেম্বর) সহিংসতার পর আজ সকাল থেকেই ভাঙ্গায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। সকাল থেকে কয়েকটি পয়েন্টে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিলেও মহাসড়ক অবরোধ করেননি। ফলে ঢাকা-খুলনা এবং ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং তিনটি ম্যাজিস্ট্রেট টিম সড়কে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, কেউ অবরোধের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, গতকালের সহিংসতার প্রতিবাদে সর্বদলীয় ঐক্য কমিটি একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা অভিযোগ করে যে একটি মহল ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ চেষ্টা করছে। তারা সোমবারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা বলেন, “বিএনপি, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ এবং ইসলামী খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়েছেন। গতকাল ভাঙ্গায় অপ্রীতিকর ঘটনায় নাশকতাকারীরা জড়িত ছিল এবং সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর ইন্ধনে থানা, উপজেলা পরিষদ, নির্বাচন কমিশনের অফিস এবং মসজিদে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি আরো বলেন, “যেহেতু ২১ তারিখে আদালতের রায় রয়েছে, তাই তারা আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ তারিখ পর্যন্ত কোনো অবরোধ কর্মসূচি করবেন না। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তাকে রুখে দিতেও আমরা প্রস্তুত।”
ঢাকা/তামিম/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।