রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন ছিনতাইপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.

ইবনে মিজাসের নেতৃত্বে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল), মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ, পিআই ও মোহাম্মদপুর থানার একটি দল বিভিন্ন ছিনতাইপ্রবণ এলাকায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

থানা সূত্র আরো জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চোর, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধীরা আছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ ম হ ম মদপ র থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ