সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী নতুন শ্রমিকদের জন‍্য ভাড়া নির্ধারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এখন থেকে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একক যাত্রায় ২৮ হাজার ১৭৮ টাকা ও ঢাকা-জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম রুটে ৫৪ হাজার ৫৪ টাকায় যাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই ভাড়া চালু হয়েছে; যা চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। ট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব) এ তথ্য জানায়।

গত ২২ জানুয়ারি বিমানের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আটাবের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী নতুন শ্রমিকদের বিমানভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছিল আটাব। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি ও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের জন‍্য নতুন ভাড়া নির্ধারণ করলো বিমান।

তবে এ জন্য শুধু বৈধ বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স কার্ড বা বিএমইটি দ্বারা ভিসা-প্রমাণপত্রের বিপরীতে ‌‘নতুন কাজের ভিসা ধারকদের’ পক্ষে টিকিট ইস্যুর জন্য প্রযোজ্য। শ্রমিক ভাড়া শুধু একমুখী টিকিট ইস্যু করার জন্য বৈধ। এর সঙ্গে ট্যাক্স যোগ হবে। আবার টিকিট স্বেচ্ছায় পরিবর্তন, রিফান্ড চার্জ এবং অন্যান্য শর্ত ভাড়া পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী হবে। ভাড়া যে কোনো সময় পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরিবর্তন হতে পারে।

আটাবের মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী নতুন শ্রমিকদের জন্য বিমানভাড়া কমাতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল আটাব। আজ বিমান সেই দাবি মেনে নিয়েছে। তারা চিঠির মাধ্যমে আটাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এখন থেকে নতুন শ্রমিকরা কম খরচে এ দুটি দেশে যেতে পারবেন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ