পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তাহলে একমত নন দেশটির পেসার নাসিম শাহ।

লাহোরে গত শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়াম সংস্কার শেষে নতুন করে ‘উদ্বোধন’ করেন শেহবাজ। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের আসল কাজটা কী হবে, ‘আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে।’

আরও পড়ুনফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রামে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি না করতে খুশদিলদের পরামর্শ আফ্রিদির৫ ঘণ্টা আগে

কিন্তু নাসিম এভাবে ভাবছেন না। চ্যাম্পিয়ন হতে গোটা টুর্নামেন্ট নিয়েই মনোযোগী ২১ বছর বয়সী পেসার। আলাদা করে শুধু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে মনোযোগ দিতে চান না তিনি। করাচিতে গতকাল ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে পাকিস্তান দলের অনুশীলনের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন নাসিম।

আট দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আয়োজক দেশ পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইয়েও কিছু ম্যাচ হবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। নাসিম জানিয়েছেন, এই ম্যাচ নিয়ে ড্রেসিংরুমে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘ভারতের বিপক্ষে আমরা কী করব আর কী করব না, এসব নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। আমরা গোটা টুর্নামেন্ট নিয়ে মনোযোগী। কারণ, ফাইনালে খেলতে চাই এবং জিততে চাই।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি

আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তাকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন।

‘জগাখিচুড়ি মার্কা’ কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার দিকটি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংলাপে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন সাজ্জাদ জহির। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চারটি ধারাবাহিক কর্মশালা করেছে সিজিএস। তার সমাপনী অনুষ্ঠান হিসেবে আজকের সংলাপ হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। নানা প্রশ্নে বিভিন্ন দলের আপত্তির বিষয়গুলো সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ার তফসিলে না থাকা নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, আবার গণভোটের সময় নিয়েও দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে একধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্ন মত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’

সিপিবির সভাপতি বলেন, এসব জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন। তবে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ সরকার সেটি শোনেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: সাইফুল হক
  • জুলাই সনদে সই না করা অংশের দায় নেব না: মির্জা ফখরুল
  • ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি
  • যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান: তুরস্ক