বিপাকে পড়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর আল্লাহবাড়িয়া। সময় রায়নার শো ‘ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্ট’-এ বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। এবার ব্যক্তিগত জীবনেও পড়ল এই বিতর্কের প্রভাব। শোনা যাচ্ছে, এ ঘটনার জেরে প্রেমিকা নিক্কি শর্মার সঙ্গে রণবীরের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রণবীর ও নিক্কি একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন। আনফলো করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই এই ব্রেকআপের গুঞ্জন আরও বেশি জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি নিকির পোস্ট করা একটি লেখা পড়লে বোঝা যায়, তাঁদের সম্পর্ক হয়তো আর নেই।

সম্প্রতি নিক্কি একটি পোস্ট করেন যেখানে লেখা, ‘আপনার শরীর যে শুধু খারাপ খাবারকে প্রত্যাখ্যান করে তা নয়, আপনার শরীর খারাপ এনার্জিকেও প্রত্যাখ্যান করে। যখন কোনো নির্দিষ্ট জায়গা, মানুষ অথবা জিনিস আপনার শরীর প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করে, তখন তাতে সাড়া দেওয়া উচিত। আপনার মনের কথা শুনুন এবং বিশ্বাস করুন।’

কিছুদিন আগেই গোয়ায় ঘুরতে গিয়েছিলেন রণবীর ও নিক্কি। গোয়ায় একটি ভয়ানক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা। মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছিলেন রণবীর ও নিক্কি। সবকিছুই তাঁদের মধ্যে ভালো চলছিল, কিন্তু আচমকাই যেন সবকিছু পাল্টে গেল।

আরও পড়ুনআপত্তিকর মন্তব্য, ক্ষমা চেয়েও পার পাচ্ছেন না রণবীর৫ ঘণ্টা আগে

এদিকে রণবীরের বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাঁর অনুসারীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রণব র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ