একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন আকলিমা, সকলে সুস্থ
Published: 13th, February 2025 GMT
খুলনায় একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ মিসেস আকলিমা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চার সন্তানের জন্ম দেন। জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিন ছেলে ও এক মেয়ে।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর মা ও নবজাতকরা সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আনন্দিত তার পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা জানান, আকলিমা একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিয়েছে। সবাই সুস্থ আছে। এতে তারা দারুণ খুশি।
মিসেস আকলিমার স্বামী সুজন কাজী একসঙ্গে চার সন্তান পেয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নবজাতকদের পেয়ে আনন্দিত গৃহবধূ আকলিমাও। আকলিমা বলেন, ‘‘আমি ভালো আছি। হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের আচরণে খুব খুশি।’’
আরো পড়ুন:
ফেনীতে একসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম
চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে ১৭ শিশুর জন্ম
চিকিৎসকরা জানান, একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম বিরল ঘটনা। এ ক্ষেত্রে মা ও নবজাতকরা সুস্থ থাকাটা সৌভাগ্যের বিষয়। এই অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেন হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান ডা.
ডা. আমিনা জান্নাত পিয়া জানান, আকলিমার এটি দ্বিতীয় গর্ভধারণ। আকলিমা জানতেন গর্ভে জমজ বাচ্চা রয়েছে। যখন তিনি হাসপাতালে আসেন, তখন ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। গর্ভে বাচ্চা ছিল উল্টা পজিশনে। এ জন্য তাকে জরুরি অপারেশন করা লাগে। অপারেশন করে পরপর চারটি বাচ্চা ডেলিভারি করা হয়।
হাসপাতালের সব বিভাগ মিলে মা এবং বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একসঙ গ জন ম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।
সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।