কুড়িগ্রাম সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে নিয়ম লঙ্ঘন করে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরা সরালেও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাড়িয়েছে নজরদারি। ঘন ঘন টহলের পাশাপাশি বিএসএফ জওয়ানের সংখ্যাও দেখা গেছে বেশি। এতে সীমান্তঘেঁষা জমিতে কাজ করতে যেতে আতঙ্ক বোধ করছেন বাংলাদেশের কৃষকরা।   
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি গ্রামে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮-এর ৯-এস সাব পিলারের কাছের একটি গাছে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফ। এটি একটি পুরোনো মসজিদের দিকে ঘোরানো ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকেই যেখানে ভারত-বাংলাদেশের বাসিন্দারা একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে গত মঙ্গলবার পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ-বিজিবি। আলোচনার পর বিএসএফ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যামেরাটি সরায়। তবে পরদিন সকাল থেকেই কুড়িগ্রামের সঙ্গে ২৭৮ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে বিশেষ নজরদারি শুরু করে বিএসএফ। অবশ্য নদীপথের ৪০ কিলোমিটারে স্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দেখা যায়। 
বুধবার সরেজমিন জেলার সীমান্ত এলাকায় দেখা যায়, ফুলবাড়ী, ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী অংশে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বাড়তি বিএসএফ সদস্য। নদীপথে নৌকায় চলছে টহল। ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট ও রৌমারীর তুরা স্থলবন্দরেও চলছে বিশেষ তল্লাশি। ফুলবাড়ীর শিমুলবাড়ি এলাকায় কৃষকদের পড়তে হয় নানা প্রশ্নের মুখে। এ ছাড়া নাগেশ্বরীর নারায়ণপুর চরে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় স্থানীয়রা আছেন আতঙ্কে। 
ভূরুঙ্গামারীতে ঝাকুয়াটারি নামে যে মসজিদ এলাকায় ক্যামেরা বসানো নিয়ে ঘটনার শুরু, সেখানে মুসল্লিদের চলাফেরায় নজরদারি ও কড়াকড়ি আরোপ করছে বিএসএফ। মসজিদের মুয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন বলেন, লোকজন আতঙ্কিত। ক্যামেরা সরালেও বিএসএফ পাহারা দিচ্ছে।
স্থানীয় খোকন আলী বলেন, ‘ক্যামেরা সরানোর পর হামরা খুশি হইছি। কিন্তু সকাল থাকি যেভাবে জওয়ানরা পায়চারি করতেছে মনে হচ্ছে, তারা ঝগড়া করার জন্য রেডি হয়া আছে।’ কুড়িগ্রামে ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, জেলাজুড়ে ৩৭টি বিওপি ক্যাম্পে টহল জোরদার করেছে বিজিবি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নজরদ র ব এসএফ আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’

বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিরা নৃশংসতা, অপরাধ, নিপীড়ন, বর্ণবাদ এবং গণহত্যার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের প্রধান জেন ডাঙ্গর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এ কথা বলেছেন।

জেন ডাঙ্গার তার বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা দেখছি, ফিলিস্তিনিদের দৃষ্টি সরাসরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দিকে। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, ইসরায়েল যেভাবে এই ক্ষতিগুলো করছে, তাতে দায়মুক্তি নেই।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েল দায়মুক্তির সাথে কাজ করে চলেছে কারণ তারা জবাবদিহিতা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মকানুন পর্যন্ত এক ধরণের ব্যতিক্রমীতা উপভোগ করে। যে কোনো দেশ বা সত্তা, যারা ইসরায়েলকে তার অমানবিক এবং বেআইনি কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে, যার থেকে জাতিসংঘ এবং এই আদালতও রেহাই পায়নি।”

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে জাতিসংঘের প্রধান আদালত আইসিজের মূল ভবন পিস প্যালেসে সোমবার সকালে শুনানি শুরু হয়। মৌখিক এই শুনানি চলবে পাঁচ দিন। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানের জন্য বন্ধ ভারতের আকাশ, সতর্ক ইসলামবাদ
  • আকাশসীমায় নজরদারি বাড়িয়েছে পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
  • ‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা