শবে বরাতের আমেজে তৃতীয় ধাপের ইজতেমা চলছে তুরাগতীরে
Published: 15th, February 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে পবিত্র শবে বরাতের আমেজে চলছে তৃতীয় ধাপের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের এই ইজতেমা আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। আজ শনিবার ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর চলছে বয়ান ও তালিম।
মাওলানা সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো.
আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, তুরাগতীরের বিশাল ইজতেমা মাঠে হাজারো মুসল্লির সমাগম। মুসল্লিরা অবস্থান করছেন বাঁশ ও চটের তৈরি শামিয়ানার নিচে। ফজরের নামাজের পর শুরু হওয়া আমবয়ান শেষ হয় সকাল ১০টায়। এর পর থেকে খিত্তায় খিত্তায় চলছে তাবলিগের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তালিম। বেশির ভাগ মুসল্লি রোজা রাখায় মাঠে সেভাবে রান্নাবান্নার ব্যস্ততা নেই।
ইজতেমা মাঠের একটি পানির চৌবাচ্চায় অজু করছেন মুসল্লিরা। আজ শনিবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইজত ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।