গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে পবিত্র শবে বরাতের আমেজে চলছে তৃতীয় ধাপের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের এই ইজতেমা আগামীকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। আজ শনিবার ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর চলছে বয়ান ও তালিম।

মাওলানা সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো.

সায়েম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিগত বছরগুলো থেকে আমাদের এবারের ইজতেমা একটু ভিন্ন। এবার ইজতেমায় আমরা শবে বরাত পেয়েছি। অধিকাংশ মুসল্লিই আজ রোজা রেখেছেন। ফজরের নামাজের পর থেকে ধাপে ধাপে মুরব্বিদের বয়ান চলছে। মুসল্লিরা রোজা রাখার পাশাপাশি বয়ান শুনছেন। বয়ানের মাঝখানে তালিমের পাশাপাশি বিভিন্ন ইবাদতে সময় পার করছেন।’

আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, তুরাগতীরের বিশাল ইজতেমা মাঠে হাজারো মুসল্লির সমাগম। মুসল্লিরা অবস্থান করছেন বাঁশ ও চটের তৈরি শামিয়ানার নিচে। ফজরের নামাজের পর শুরু হওয়া আমবয়ান শেষ হয় সকাল ১০টায়। এর পর থেকে খিত্তায় খিত্তায় চলছে তাবলিগের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তালিম। বেশির ভাগ মুসল্লি রোজা রাখায় মাঠে সেভাবে রান্নাবান্নার ব্যস্ততা নেই।

ইজতেমা মাঠের একটি পানির চৌবাচ্চায় অজু করছেন মুসল্লিরা। আজ শনিবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ