মেট্রোরেল এমআরটি-৬ লাইনের সব স্টেশনে এটিএম/সিআরএম মেশিন চালু করবে এনসিসি ব্যাংক পিএলসি। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি এনসিসি ব্যাংক এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মধ্যে একটি চুক্তি করা হয়েছে। 

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এবং এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিনের উপস্থিতিতে ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব খন্দকার এহতেশামুল কবীর ও এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

জাকির আনাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

এ সময় এনসিসি ব্যাংকের ইভিপি মোহাম্মদ তারিকুল আমিন, এসভিপি ও হেড অব রিটেইল অ্যান্ড ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিজনেস জোবায়ের মাহমুদ ফাহিম, ট্রানজেকশন ব্যাংকিং ও ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান শাহীন আক্তার নুহাসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ এনসিসি ব্যাংকসহ চুক্তি স্বাক্ষরকারী অন্যান্য ব্যাংককে এ ধরনের উদ্যোগে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। 

এটিএম/সিআরএম মেশিন স্থাপন করলে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য স্মার্ট ও ক্যাশলেস পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম তৈরি হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন বলেন, “মেট্রোরেল ঢাকা মহানগরে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাতেই আমূল পরিবর্তন আনেনি; বরং একে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। আগামীতে স্টেশনগুলোতে বিভিন্ন বিপণীবিতান ও শপিংমল প্রতিষ্ঠার সুযোগ আছে। সেগুলো করা হলে মেট্রোরেল স্টেশনগুলো সম্মিলিতভাবে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হবে। এ সম্ভবনাকে বিবেচনায় রেখে আজ বিভিন্ন ব্যাংক মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে এটিএম বুথ স্থাপন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে শুধু যাত্রীদের জন্যই নয়; এখানকার ব্যবসায়ীদের ও তাদের গ্রাহকদের জন্য অর্থ লেনদেন সহজ ও নিরাপদ করবে।”

তিনি আগামীতে মেট্রোরেল ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যেকোনো ধরনের ব্যংকিং সেবা দেওয়ার জন্য পাশে থাকার আশা ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ