আমার হৃদয় বালিতে ফেলে এসেছি: মিম
Published: 16th, February 2025 GMT
কখনো পেশাগত কাজ, আবার কখনো ব্যক্তিগত কারণে দেশ-বিদেশ ঘুরতে দেখা যায় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে। এবার স্বামীর সঙ্গে মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে দেখা দিলেন তিনি। সেখান থেকে একগুচ্ছ স্থিরচিত্র শেয়ার করে আনন্দ ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মিমি।
গত দুই দিনে ফেসবুকে এগুচ্ছ ছবি প্রকাশ করেছেন মিম। যেখানে বিচের পাশে মোহমীয় রূপে দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। ছবি: ফেসবুক
স্বামী সনি পোদ্দারকে নিয়ে মালদ্বীপের দৃষ্টিনন্দন সমুদ্র সৈকতে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছেন মিম। ছবি: ফেসবুক
সমুদ্রপাড়ের ছবি পোস্ট করে মিমি লিখেছেন, ‘সাগরপাড়ে আমার হৃদয়টাকে রেখে যাচ্ছি।’ ছবি: ফেসবুক
অপর একটি ক্যাপশনে মিম লিখেছেন, ‘আমি আমার হৃদয় বালিতে ফেলে এসেছি।’ ছবি: ফেসবুক
মিমের শেয়ার করা ছবি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বিশেষ করে এই নায়িকার অনুরাগীদের অধিকাংশ তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। ছবি: ফেসবুক
কেউ লিখেছেন, ঢালিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মিম। কারো মন্তব্য, বরাবরই সাহসী আপনি। ছবি: ফেসবুক
২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: ফেসবুক
হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল চলচ্চিত্রে’ অভিনয় করে দর্শকদের নজরে আসেন তিনি। ছবি: ফেসবুক
এরপর থেকে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই নায়িকা। ছবি: ফেসবুক
মিম অভিনীত সর্বশেষ ব্যবসাসফল সিনেমা ‘পরাণ’। এরপর দামাল, অন্তর্জাল মুক্তি পায়। এখনও বেশ কয়েকটি নতুন ছবির প্রজেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি। শিগগিরই আসবে সেইসব ছবির ঘোষণা। ছবি: ফেসবুক
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।