সোনারগাঁয়ে হাট-বাজারের ইজারা নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের হট্টগোল
Published: 18th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ের উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে হাট-বাজারের ইজারা ড্রপ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাস্থ আনন্দ বাজারসহ মোট ১৩টি হাটবাজারের টেন্ডার জমা দিতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কক্ষের সামনে থাকা টেন্ডার বক্সে কাগজ নিয়ে যান সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সহযোগী রতন, মাহফুজ ও সোহাগসহ বেশ কয়েকজন।
এসময় একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফের সহযোগী হাসনাহিন, মোহন, রাব্বিরা কাগজ জমা দিতে বাঁধা দেন। পরবর্তীতে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে ইউএনও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
ইজারায় নাম উঠা হাট-বাজারের নাম : আনন্দবাজার, কাইকারটেক, মোরগাপাড়া, নয়াপুর গঙ্গাপুর, পঞ্চমীঘাট, বন্দীরবাজার, বিষ্ঝান্দী, বারদী, মহজমপুর, হরিহরদী, অলিপুরা, কাঁচপুর।
ঘটানোর সত্যতা জানতে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ মুঠোফোনে জানান, আমার আর মান্নান ভাইয়ের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। হট্টগোল হয়েছে তা আমি শুনে পোলাপানের সঙ্গে চিল্যাচিল্লি করেছি। সেখানে মান্নান ভাইয়ের লোক ছিল কিনা আমার জানা নেই। কারণ আমি আর তিনি তো একই কমিটির লোক।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, আমার এই বিষয়ে জানা নেই। হয়তো আমাদের টিম গিয়েছে। সেখানে কি হয়েছে? আপনারা সাংবাদিকরা আমাকে অনেক ফোন করেন। ফোন না করে ইনফরমেশন দিয়েন ভালো হয়।
গণমাধ্যম কর্মীরা আপনাকে তথ্যের জন্যে ফোন করতে পারবে না? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলে, যেকোনো ইনফরমেশন আমাদের হোয়াইটস অ্যাপ গ্রুপে দেওয়া হয়, সেখান হতে নিয়ে নিয়েন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলে, আমার এখানে কোনো ধরনের হট্টগোল বা তর্কবিতর্ক হয়নি। আপনারা যে ভিডিওটি পেয়েছেন সেটা ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।