মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন শামীমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। জেলা কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
শামীম জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য ও সিংগাইরের ধল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের ভাষা শহীদ রফিক মঞ্চে একুশে আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদ রফিক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে শহীদ রফিক মঞ্চে পাঁচ দিনব্যাপী একুশে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শামীম ১৫টি মাইক্রোবাসে করে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
শামীমকে দেখে ক্ষিপ্ত হন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান মিঠু। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ হতেই মিঠুর নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে শামীম ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা করেন।
মারামারি ঠেকাতে গিয়ে আহত হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম আবেদীন কায়সার ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান সজীবসহ কয়েকজন। শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ইকবাল হোসেন শামীম বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্য ও বিএনপির গ্রুপিং-লবিং নিয়ে মাহাবুবুর রহমান মিঠুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়কের গ্রুপের রাজনীতি করায় মিঠু আমাকে কখনও সহ্য করতেন না। এ কারণে তিনি ও তাঁর লোকজন আমার ওপর হামলা করে।’
শামীমের ওপর হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত নন দাবি করে দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান মিঠু বলেন, শামীম আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন। এ কারণে বিএনপির কিছু লোক হামলা করেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ব ব র রহম ন ম ঠ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫