ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-ভারত: নিকট অতীত তো বাংলাদেশের পক্ষে
Published: 20th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু হচ্ছে আজ। দুবাইয়ে প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত। কাগজে-কলমে শক্তির ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও দুই দলের সাম্প্রতিক মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসে আশাবাদী হতেই পারে বাংলাদেশ।৩-২
সব মিলিয়ে ৩২-৮ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের হিসাবে বাংলাদেশই ৩-২ ম্যাচে এগিয়ে। বাংলাদেশের তিন জয়ের দুটি ২০২২ সালের শেষে দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে। অন্যটি ২০২৩ শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপে।
ধারাওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেলে পরের ২-৩ ম্যাচেও আরেকটি জয়ের আশা করতেই পারেন। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে তিন ম্যাচের মধ্যে দুবার ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে মিরপুরে সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ৫ ম্যাচের ৩ জয়ের কথা তো বলাই হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু ২০১২ সালে এশিয়া কাপের জয়টি।
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ: সবচেয়ে গৌরবের গল্পটা এখানেই৩ ঘণ্টা আগেনিয়মবাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের ৯ উইকেটে হার, শুরুর দিকে ব্যাপারটা এমনই ছিল। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত দুই দলের প্রথম চার দেখাতেই বাংলাদেশ হারে ৯ উইকেটে। চারটি ম্যাচই এশিয়া কাপে। পরের চারটি ম্যাচেও উইকেটের ব্যবধানে হারলেও ব্যবধানটা এত বড় ছিল না।
২০০৪ সালে ওয়ানডেতে ভারতকে প্রথমবার হারানোর পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উল্লাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫