গোপালগঞ্জে পুলিশের উপর হামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 20th, February 2025 GMT
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন (৪৫) পাটগাতী গ্রামের মৃত ফহম শেখের ছেলে।
আরো পড়ুন:
টেকনাফে ২ লাখ ইয়াবাসহ ৭ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
সিংড়ায় আ.
টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাধে তাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে সাফায়েত গাজী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ। তখন পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানা মামলা করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন।
ঢাকা/বাদল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।