‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলা আজ
Published: 22nd, February 2025 GMT
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে প্রথমা বুক ক্যাফে শিশু-কিশোর কর্নারের (কিডস জোন) আয়োজনে ‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শনিবার। রাজধানীর মাদানী অ্যাভিনিউর কোর্ট সাইডের শেফস টেবিলে এ মেলার আয়োজন করা হবে।
এবারের মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে কিছু প্রতিযোগিতা। দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে এ প্রতিযোগিতায়। থাকছে চিত্রাঙ্কন (ছবি আঁকা) ও সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা শুরু হবে বেলা দুইটায়। হাতের লেখা প্রতিযোগিতা বেলা তিনটায়। প্রতিযোগিতা হবে দুটি বিভাগে। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক বিভাগ আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত খ বিভাগ। বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পী অশোক কর্মকার, মাসুক হেলাল, আরাফাত করিম এবং এস এম রাকিবুর রহমান।
‘ভালোবাসি বাংলা ভাষা’ মেলায় আরও থাকছে জাদু প্রদর্শনী, অরিগ্যামি, গুফি ওয়ার্ল্ড পরিবেশনা, গীতাঞ্জলি সংগীত একাডেমির গান, মাহমুদা আক্তারের গল্প বলা, রোবট ড্যান্স ও পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন। এ আয়োজনে জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথমা প্রকাশন প্রকাশ করেছে পাঁচটি নতুন বই। এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
প্রথমা বুক ক্যাফের শিশু–কিশোর কর্নারটি শিশুদের জন্য সাজানো হয়েছে। কীভাবে সন্তানের বন্ধু হবেন প্যারেন্টিং সেশনটি পরিচালনা করবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান। আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?