খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ করে নতুন নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি প্রেরণ করেন তারা।

চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, আমরা কুয়েটের সব শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কুয়েট শাখা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দেওয়াসহ শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। ফলে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ধরে এ হামলা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোন ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এজন্য আমরা শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরেও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় উপাচার্যের অপসারণ দাবি করছি।

উপাচার্যের অপসারণ দাবির কারণ হিসেবে চিঠিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, রাজনীতি মুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশের অপচেষ্টায় জড়িত থাকা, ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, দেড়শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার পরও ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করা, যথাপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্বেও শিক্ষার্থীদের ওপর করা চিহ্নিত কুয়েট ছাত্রদল, স্থানীয় বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের হামলাকে স্বীকার না করা এবং হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দফা দাবি পূরণের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও তা মেনে না নেওয়া।

শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিভাবকহীন ও অনিরাপদ কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য অতিদ্রুত নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে, যারা আমাদের পাঁচ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে অভিভাবকত্বের দায়ভার নিবেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ উপ চ র য উপ চ র য র ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ