সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার চেষ্টা, এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে পন্ড
Published: 22nd, February 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে রাতের আধাঁরে চুরি করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগের দোসর মামুন গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে গ্যাস সংযোগ প্রদানকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু সংখ্যক গ্যাসের পাইপ জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল মুসলিম নগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অবৈধ সংযোগ প্রদানকারী মামুন মুন্সিগঞ্জের আওয়ামীলীগের সবেক সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের লোক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গোদনাইল মুসলিম নগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মামুন ১০/১৫ টি বাড়ি থেকে সংযোগ দেয়ার কথা ৩০/৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে লুঙ্গি দুলাল নামে এক স্থানীয় বিএনপি নেতার শেল্টারে রাতের আধারে গ্যাস সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু করে। তারা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই কয়েকশত ফুট রাতা কেটে ফেলে। ভোরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর জানতে চাওয়া হলে তারা তিতাসের লোকজন কাজ করছে বলে জানান। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনদের সন্দেহ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানে না বলে জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় খবর দিলে এসআই নূরুল সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় তারা বেশ কিছু গ্যাসের পাইপ জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত মামুন জানান, আমি কোন অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেইনি। রাস্তা পাকা হয়ে যাবে তাই পাইপগুলো টেনে রাখতে চেয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহীনূর আলম বলেন, ‘৯৯৯’ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ কাউকে পায়নি। পরে কিছু পাইপ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি তিতাসের তাই তারাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন (টিএন্ডডি) নারায়ণগঞ্জ সদর জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মোহাম্মদ ইমরান জানান, আগামীকাল তিতাসের টিম পাঠিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।