নাটকীয়তার পর ‘আবাহনীর আফিফ’ এখন রূপগঞ্জের
Published: 23rd, February 2025 GMT
দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হবে। শের-ই-বাংলার ফার্নিচার মার্কেটের উপরে হঠাৎ গণমাধ্যম কর্মীদের হুড়োহুড়ি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সিসিডিএম কার্যালয়ে ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুবর আগমন ঘটে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের শেষ দিন রূপগঞ্জের কর্তার সঙ্গে আফিফের আগমনই স্পষ্ট করে দেয় তিনি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন। অথচ কয়দিন আগেই ঐতিহ্যবাহী আবাহনী ক্লাবের সঙ্গে আফিফ চুক্তি করেছিলেন আসন্ন আসরে আকাশী-নীল জার্সিতে খেলার জন্য।
হঠাৎ কী এমন হলো আবাহনী ছেড়ে রূপগঞ্জে পাড়ি জমালেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। আবাহনীর এক অফিসিয়াল রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন আফিফের সঙ্গে তাদের চুক্তির কথা। কিন্তু আর্থিক দিক বনিবনা না হওয়ায় এবং পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থেকে আরও বড় অঙ্কের অফার পাওয়ায় মূলত আফিফের শেষ মুহুর্তে ক্লাব-বদল।
আরো পড়ুন:
উঁচু মূল্য লিটনের, ঝুলে আছে দলবদল প্রক্রিয়া
সাকিবের ‘ইউটার্ন’
শেষ দিকে শের-ই-বাংলায় আফিফের ক্লাব বদল নিয়ে নাটকীয়তা চলে। আবাহনীর এক কর্তা তাকে বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু আফিফ তাতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৩টা নাগাদ রূপগঞ্জের কর্তা টিটুর উপস্থিতিতে দল বদলের ফরমে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষর করেন আফিফ।
আবাহনী অফিসিয়াল রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের সঙ্গে আফিফের কিছুদিন আগে চুক্তি হয়। ক্লাবের আর্থিক দিন বিবেচনায় নিয়ে ২০ শতাংশ টাকা কম দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে আফিফকে চুক্তি মোতাবেক দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।’’
আফিফের সঙ্গে ৩৫ লাখ টাকায় আফিফের চুক্তি হয়েছিল। ২০ শতাংশ টাকা কম দেওয়া হবে ক্লাব থেকে এমন বার্তার পর আফিফ বেঁকে বসেন। মাঝে রূপগঞ্জ তাকে অফার করে ৩৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের। আবাহনী অফিসিয়ালের দাবি, আফিফকে চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ লাখ টাকা দিতে রাজি ছিল ক্লাব। ততক্ষণে আফিফ তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
রূপগঞ্জের এক কর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আফিফকে দলে নেওয়ার বিষয়ে সিসিডিএম থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। আমরা নিয়ম মেনে তাকে নিয়েছি।”
টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে এই কর্তা জানান, “যে ক্লাব টাকা বেশি দেবে অবশ্যই সেই ক্লাবে খেলবেন ক্রিকেটার। এটা তার অধিকার।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।