দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হবে। শের-ই-বাংলার ফার্নিচার মার্কেটের উপরে হঠাৎ গণমাধ্যম কর্মীদের হুড়োহুড়ি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সিসিডিএম কার্যালয়ে ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুবর আগমন ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের শেষ দিন রূপগঞ্জের কর্তার সঙ্গে আফিফের আগমনই স্পষ্ট করে দেয় তিনি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন। অথচ কয়দিন আগেই ঐতিহ্যবাহী আবাহনী ক্লাবের সঙ্গে আফিফ চুক্তি করেছিলেন আসন্ন আসরে আকাশী-নীল জার্সিতে খেলার জন্য।

হঠাৎ কী এমন হলো আবাহনী ছেড়ে রূপগঞ্জে পাড়ি জমালেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। আবাহনীর এক অফিসিয়াল রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন আফিফের সঙ্গে তাদের চুক্তির কথা। কিন্তু আর্থিক দিক বনিবনা না হওয়ায় এবং পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থেকে আরও বড় অঙ্কের অফার পাওয়ায় মূলত আফিফের শেষ মুহুর্তে ক্লাব-বদল।

আরো পড়ুন:

উঁচু মূল্য লিটনের, ঝুলে আছে দলবদল প্রক্রিয়া

সাকিবের ‘ইউটার্ন’

শেষ দিকে শের-ই-বাংলায় আফিফের ক্লাব বদল নিয়ে নাটকীয়তা চলে। আবাহনীর এক কর্তা তাকে বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু আফিফ তাতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৩টা নাগাদ রূপগঞ্জের কর্তা টিটুর উপস্থিতিতে দল বদলের ফরমে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষর করেন আফিফ।

আবাহনী অফিসিয়াল রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের সঙ্গে আফিফের কিছুদিন আগে চুক্তি হয়। ক্লাবের আর্থিক দিন বিবেচনায় নিয়ে ২০ শতাংশ টাকা কম দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে আফিফকে চুক্তি মোতাবেক দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি।’’

আফিফের সঙ্গে ৩৫ লাখ টাকায় আফিফের চুক্তি হয়েছিল। ২০ শতাংশ টাকা কম দেওয়া হবে ক্লাব থেকে এমন বার্তার পর আফিফ বেঁকে বসেন। মাঝে রূপগঞ্জ তাকে অফার করে ৩৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের। আবাহনী অফিসিয়ালের দাবি, আফিফকে চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ লাখ টাকা দিতে রাজি ছিল ক্লাব। ততক্ষণে আফিফ তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

রূপগঞ্জের এক কর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আফিফকে দলে নেওয়ার বিষয়ে সিসিডিএম থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। আমরা নিয়ম মেনে তাকে নিয়েছি।”

টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে এই কর্তা জানান, “যে ক্লাব টাকা বেশি দেবে অবশ্যই সেই ক্লাবে খেলবেন ক্রিকেটার। এটা তার অধিকার।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।

জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।

দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
  • দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩