লিভারের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন ‘মেঘমল্লার’ সিনেমার নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। গত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসা শেষে আর পৃথিবীর আলো দেখা হলো না। মারা গেছেন এই নির্মাতা (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার রাতে  ভারতের বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

সমকালকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন  নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। তিনি জানান, ‘জাহিদুর ভাই আর নেই। একটু আগেই তার মৃত্যুর খবর পেলাম। উনার চলে যাওয়া মানে উজ্জল নক্ষত্রের চলে যাওয়া।’

এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  গিয়াস উদ্দিন সেলিম, আকরাম খানসহ অনেকেই তার মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন।

পরিবারের বরাতে জানা যায়, গেল সপ্তাহে চিকিৎসকরা তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ছিলেন লাইফ সাপোর্টে। বেঙ্গালুরুরে তার চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। 

২০১৪ সালে কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রেইনকোট’ গল্প অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘমল্লার’ নির্মাণ করেন অঞ্জন।  প্রথম ছবিতেই ‘শ্রেষ্ঠ পরিচালক’ ও ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

সরকারি অনুদানে সবশেষ তিনি নির্মাণ করেন ‘চাঁদের অমাবস্যা’। শুটিং সম্পন্ন হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও নিজের অসুস্থতার কারণে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারেননি। তবে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির কাছে সিনেমাটি বিক্রি করেছেন বলে এর আগে জানিয়েছিনে এই নির্মাতা। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, চালক আটক

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করেছেন স্থানীয়রা। এসময় পালিয়ে গেছেন চালকের সহকারী।

রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আউশকান্দির তিনতালাব পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক বাসচালক সাব্বির মিয়া (২৫) উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলীর ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।

নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, ‘‘রবিবার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উদ্দেশে বাসে উঠেন ওই কলেজছাত্রী। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় শেরপুরে। পরে বাড়ি ফেরার জন্য মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাসে উঠেন তিনি। বাসটি আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে বাসের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’

আরো পড়ুন:

রাজবাড়ী‌তে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ