জর্জ হ্যারিসন বিটলস ব্যান্ডের সবচেয়ে স্বল্পভাষী সদস্য বলে পরিচিত। ‘সরব’ ছিল তাঁর মোহনীয় আঙুলগুলো, যেগুলো খেলা করত গিটারের ছয় তার আর ফ্রেডবোর্ডজুড়ে। যে আঙুল লিখেছিল ‘ইফ আই নিডেড সামওয়ান’, ‘হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস’, ‘উইদিন ইউ উইদাউট ইউ’-এর মতো গানগুলো। বিখ্যাত একটা ব্যান্ডের সদস্য ছাড়াও হ্যারিসনের একক পরিচয়, বদান্য, মাহাত্ম্য, কর্ম—কিছু কম নয়। আজ তাঁর জন্মদিন।

জর্জ হ্যারিসনের কাছে বাংলাদেশের মানুষ কৃতজ্ঞ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্মরণার্থীদের সাহায্যে তিনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দুটি হাত। বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলি চলছিল, ঠিক সেই সময়ে, ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে বেজে উঠেছিল তাঁর গিটার। তিনি গেয়ে উঠেছিলেন ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ, সাচ আ ডিজাস্টার আই ডোন্ট আন্ডাস্ট্যান্ড, বাট ইট শোর লুকস লাইক আ মেস, আভ নেভার নোন সাচ ডিসট্রেস’। এই গান হয়তো অনেকে শোনেননি, কিন্তু ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর কথা পৃথিবীর কে না শুনেছেন!

জর্জ হ্যারিসনের আজ জন্মদিন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোল সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবার উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘‘আদালতের একতরফা রায়ের ভিত্তিতে আদিবাসী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে তারা নিজ ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন বাঁশঝাড়ের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’’ বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘‘আদালতের কোনো নোটিশ ছাড়াই প্রশাসন ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়। ফলে খাট, চেয়ার, টেবিলসহ কোনো আসবাবপত্রও বের করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।’’ 

আরো পড়ুন:

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

বক্তারা দাবি করেন, ‘‘যে জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা কোল সম্প্রদায়ের মানুষেরই। ১৯৫০ সালের টেনেন্সি আইনের ৯৭ ধারায় আদিবাসীদের কাছ থেকে ভূমি ক্রয়ে জেলা প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন হলেও এ ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হয়নি। প্রকৃত মালিককে হিন্দু দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয়েছে, যাতে অনুমতি গ্রহণ করতে না হয়। এ কারণে বোঝা যায়, জমির রেজিস্ট্রি সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি এবং জমি আদিবাসীদেরই।’’ 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গণেশ মার্ডি। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিচালক ফয়জুল্লাহ্ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাসিবুল, সংগঠনের সহ-সভাপতি রাজকুমার শাও, প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্রিষ্টিনা বিশ্বাস, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক রূপচাঁদ এক্কা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামাল কাদেরী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- আদিবাসী পরিষদের সদস্য আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস, মাসাউসের পরিচালক মেরিনা হাঁসদা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুকুল বিশ্বাস, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ছোটন সরদার, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিলুফা আহমেদ, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের শিকার রুমালী হাঁসদা, ভুট্টু কিস্কু, সুজন সরেন, সনাতন সরেন প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, জমির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। 

আদালতের এক রায়ের প্রেক্ষিতে গত ২৭ অক্টোবর বাবু ডাইং গ্রামের ৭৭ শতক জায়গা থেকে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এ জমিতে কোল সম্প্রদায়ের পাঁচ পরিবার বাস করছিল। 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ