স্মার্টফোন পেলেন রাজশাহীর ৫০ প্রতিবন্ধী
Published: 4th, November 2025 GMT
রাজশাহীর ৫০ জন প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষকে একটি করে স্মার্টফোন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি সেবায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এসব মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘অ্যাক্সেসিবল ডিজিটাল পরিষেবা ও পঠন উপকরণের প্রচার কর্মশালা’ শেষে তাদেরকে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়। কর্মশালার আয়োজন করে সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) ও অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)।
ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এ কর্মশালা শেষে ১০টি স্বসহায়ক দলের প্রতিনিধিদের হাতে ৫০টি সিম্ফনি ইনোভা-৩০ মডেলের স্মার্টফোন তুলে দেওয়া হয়। সিবিএম গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন ও সিবিএম সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সিডিডি। সহযোগী সংস্থা হিসেবে আছে সমতা নারী কল্যাণ সংস্থা। চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৮ সালের মার্চে।
এ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা স্মার্টফোন পেয়ে খুশি। তবে, তারা কর্মশালায় বলেছেন, সরকারি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপগুলোতে এখনো অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। স্ক্রিন রিডার, ভয়েস কমান্ড সুবিধা বাড়ানো, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ভিডিও সংযোজন এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহায়ক কর্মী নিয়োগের পরামর্শ দেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। তিনি বলেছেন, “এই প্রশিক্ষণ কেবল একটি দিনের আয়োজন নয়, এটি একটি পরিবর্তনের সূচনা। তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে আমরা নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছি। প্রযুক্তি ব্যবহারে তারা স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি সমাজ, যেখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা কারো সম্ভাবনাকে থামিয়ে দিতে পারবে না।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআইর যুগ্ম সচিব ও প্রকল্প পরিচালক রশেদুল মান্নাফ কবির। তিনি বলেন, “ডিজিটাল সেবা শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি মানবিকতারও বিষয়। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযুক্তি যেন সহায়ক হয়, প্রতিবন্ধক নয়, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.                
      
				
ঢাকা/কেয়া/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের তাগিদ ডিএসসিসির প্রশাসকের
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নগর ভবনে ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রশাসক এ মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ২৫ ক এর উপধারা (১) এর অনুবৃত্তিক্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান কে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ডিএসসিসির প্রশাসক নিয়োগ প্রদান করে ২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ২৫ ক এর উপধারা (৩) অনুযায়ী প্রশাসক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এর ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএসসিসির প্রশাসক বলেন, “সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সেবা প্রদানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে সব শ্রেণির নাগরিক জীবনকে প্রভাবিত করে।”
রাজধানী শহরের অংশ হিসেবে কাজের গুরুত্ব ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। এ সময় তিনি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে জনসম্পৃক্ততা ও জনমত যাচাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সব বিভাগীয় প্রধান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি