৪৪তম বিসিএসের রিপিট ক্যাডারের বিধি সংশোধনের ফাইল ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে বলেন, ‘৪৪তম বিসিএস রিপিট ক্যাডার বিধি সংশোধনের ফাইল চুড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য আজ বহুদিন যাবত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পড়ে আছে। কারণ জানি না। হ্যাঁ বা না বলে ফাইল ছেড়ে দিন প্লিজ। ফাইল সেখানে থাকা অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দুইবার বিদেশ ঘুরে এলেন। কিন্তু ফাইল নড়ে না। এরচেয়ে দুর্ভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। অথচ ছেলে মেয়েদের জীবন নির্ভর করেছে এর উপর। একটা যৌক্তিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এতো লাল ফিতার দৌরাত্ম কেন?’

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল গত ৩০ জুন প্রকাশ করেছিল। ১ হাজার ৭১০টি শূন্য পদের বিপরীতে সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৬৯০ জনকে। তবে তাঁদের মধ্যে ৩৭২ জন আগেই একই বা সমতুল্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন (রিপিট ক্যাডার)। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ, সমালোচনা ও বিতর্কের পর পিএসসি বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে রিপিট ক্যাডারের জায়গায় মেধাক্রম অনুযায়ী পরবর্তী প্রার্থীদের সুপারিশ করা যায়।

কিন্তু বিধি সংশোধনের প্রশাসনিক জটিলতায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়নি। ফলে রিপিট ক্যাডার–সম্পর্কিত নয়, এমন ১ হাজার ৩১৮ জন প্রার্থীর নিয়োগও শুরু হয়নি। সাধারণত ফলাফল প্রকাশের পরপরই ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ পরবর্তী ধাপ শুরু হয়।

৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ মে। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়।

প্রার্থীদের অভিযোগ, রিপিট ক্যাডার–সংক্রান্ত বিধি সংশোধনে দেরি হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। অনেকের বয়সসীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউ মানসিক চাপে ভুগছেন।

আরও পড়ুনআটটির মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ এত কম কেন২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী

আন্দোলনকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ  কর্মসূচিতে যদি বাধা সৃষ্টি বা আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা হয়, তাতে সৃষ্ট অশান্তির পুরো দায় সরকারকে  নিতে হবে।’’ 

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্টের মাজার রোড এলাকায় ভুখা মিছিলে বাধা-পরবর্তী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

ইবিতে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা

বেরোবি শিক্ষার্থীদের জন্য ২ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘‘কর্মসূচির সময় বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুরে ৪০০ শিক্ষকের লঞ্চ আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজীপুর ও টাঙ্গাইলেও শিক্ষকরা বাসে আটকে পড়েছেন। এ সব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা যে ধরনের হেনস্থা হচ্ছে, তার দায়ভার ঠিকই সরকারকেই নিতে হবে।’’

বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বরিবার (১৯ অক্টোবর) ‘ভুখা মিছিল’ নিয়ে শিক্ষা ভবন (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর- মাউশি) অভিমুখে পদযাত্রা করে। বিকেলে হাইকোর্ট সংলগ্ন মাজার এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পদযাত্রা আটকে দেয়। 

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক–কর্মচারীরা।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষকরা এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা থালা-বাটি হাতে ভুখা মিছিল করে। 

অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, ‘‘আমাদের আন্দোলনের মূল দাবি বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতার ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা। এই দাবিগুলো পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য মোট প্রয়োজন মাত্র ৩৪ কোটি টাকা, যা প্রশিক্ষণ তহবিল থেকে স্থানান্তর করা সম্ভব; প্রয়োজন হলে পরবর্তী বাজেটের মাধ্যমে বাকি অর্থ দেওয়া যাবে।’’ 

শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা দেশের নির্বাচনের প্রধান 'স্টেকহোল্ডার'।  প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারসহ প্রায় ৮০ শতাংশ নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা নিয়োজিত। আন্দোলনে জামায়াত, এনসিপি, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যেটি আন্দোলনের ব্যাপক সমর্থন নির্দেশ করে।’’ 

অধ্যক্ষ আজিজী জানিয়েছেন, পরবর্তী ধাপে শিক্ষা ভবনের সামনে বড় মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে এবং শেষে শহীদ মিনারে ফিরে আসা হবে। তিনি সতর্ক করেছেন, কর্মসূচির সময়ে কারো দ্বারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে। 

ঢাকা/এএএম/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাপ্পারাজের সঙ্গে দীঘি
  • ফতুল্লায় ষাঁড় পালনের মধ্য দিয়ে সফল নারী খামারি ফরিদা
  • চাকসুর নির্বাচিতদের গ্যাজেট প্রকাশ মঙ্গলবার, শপথ বৃহস্পতিবার 
  • খুলনা কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ বন্দীকে কাশিমপুরে প্রেরণ
  • সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
  • শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
  • ভোটের মাঠে অভিনেতা তারিক স্বপন
  • ইলিশ মজুতের উদ্দেশ্যে আনা এক ট্রাক বরফ জব্দ
  • কেঁচোর জাদুতে বদলে গেলো কামরুজ্জামানের ভাগ্য