রোজার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ১৪ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি হচ্ছে
Published: 26th, February 2025 GMT
দেশে আগামী ১ বা ২ মার্চ রোজা শুরু হচ্ছে। এর আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ ট্যাংকারে আমদানি হচ্ছে ৭৮ হাজার টন বা সাড়ে ৮ কোটি লিটার সয়াবিন তেল। আর রোজা শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ৪ ট্যাংকারে আরও ৫১ হাজার টন সয়াবিন তেল আসার কথা রয়েছে। অর্থাৎ রোজার এক সপ্তাহের মধ্যেই ১ লাখ ২৯ হাজার টন বা প্রায় ১৪ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও আমদানিকারকদের সূত্রে আমদানির এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রোজাকে সামনে রেখে এমন সময়ে আমদানি বাড়ছে যখন বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল কার্যত উধাও হয়ে গেছে। এ অবস্থায় শেষ মুহূর্তে একের পর এক ট্যাংকার বন্দরে পৌঁছাতে শুরু করায় ধীরে ধীরে সয়াবিন তেলের সংকট কেটে যাবে বলে মনে করেন আমদানিকারকেরা। তবে তেলের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির পর এসব তেল দ্রুত বাজারজাত করা না হলে রোজার শুরুতে বাজারের সংকট কাটবে না।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বন্দরের বহির্নোঙরে এমটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাভোনি ট্যাংকার থেকে খালাস হচ্ছে টি কে গ্রুপের আমদানি করা সয়াবিন তেল। আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জো বন্দর থেকে আসা ট্যাংকারটিতে রয়েছে ১৩ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এই ট্যাংকারের তেল খালাস শেষ হওয়ার আগেই গতকাল মঙ্গলবার বন্দরে এসে পৌঁছেছে এমটি মায়ের্সক বেফোর্ট। এটিতেও টি কে গ্রুপের সয়াবিন তেল রয়েছে, যার পরিমাণ ১৫ হাজার টন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার টি কে গ্রুপের ১৫ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে এসে পৌঁছাবে এমটি অ্যাভেক্স নামের ট্যাংকার। সব মিলিয়ে তিনটি ট্যাংকারে টি কে গ্রুপ আনছে ৪৩ হাজার টন সয়াবিন তেল।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই) এবং সিটি গ্রুপও সয়াবিন তেল আমদানি করছে। আগামী শুক্রবার এমজিআইয়ের পাঁচ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে আসবে এমটিএম আমস্টারডাম নামের ট্যাংকার। আগামী ২ মার্চ বন্দরে পৌঁছাবে ২৫ হাজার টন সয়াবিন তেলবাহী সি ওয়েজ গ্যালে ট্যাংকার। এই ট্যাংকার সিটি গ্রুপের ১৪ হাজার টন এবং অন্যান্য কোম্পানির ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল আনবে। রোজা শুরুর পর আরও চার ট্যাংকারে এমজিআইয়ের নামে আমদানি হচ্ছে ৪৫ হাজার টন সয়াবিন তেল।
টি কে, এমজিআই ও সিটি গ্রুপের সূত্রে জানা গেছে, সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে টি কে গ্রুপের ৪৩ হাজার টন, এমজিআইয়ের ৫০ হাজার টন এবং সিটি গ্রুপের ২৬ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হচ্ছে। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানির হিসাব পাওয়া গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ১৭ হাজার টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে, যা গত ছয় বছরে মাসিক ভিত্তিতে সর্বোচ্চ । তবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২১ দিনে মাত্র এক জাহাজ সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছিল। আমদানি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা না থাকায় সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র হয়। এখন রোজার আগমুহূর্তে সয়াবিন তেল নিয়ে একের পর এক ট্যাংকার বন্দরে এসে পৌঁছাতে শুরু করায় সংকট বেশি দিন থাকবে না বলে দাবি আমদানিকারকদের।
জানতে চাইলে টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানি করা অপরিশোধিত তেল খালাস করে দ্রুত পরিশোধনের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি, খুব দ্রুত এই তেল বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তাতে সয়াবিন তেলের সংকট কাটবে।’
সরাসরি সয়াবিন তেল ছাড়াও সয়াবিন বীজ থেকে তেল উৎপাদন করছে পাঁচটি শিল্প গ্রুপ। রোজার আগে সয়াবিন বীজ নিয়ে তিনটি জাহাজ বন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে। এই তিন জাহাজে রয়েছে ৫৯ হাজার ৪৩৮ টন সয়াবিন বীজ, যা নিয়ে আসছে এমভি ইয়োগা নামের একটি জাহাজ। এর আগে চলতি মাসে তিন জাহাজে আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টন সয়াবিন বীজ। এসব সয়াবিন বীজ মাড়াই করে পাওয়া যাবে অন্তত ২৫ হাজার টন সয়াবিন তেল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে
ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন
গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।
ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।
একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)
পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণকাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।
কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।
রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।
ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।
আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণকাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।
কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।
পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।
হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ
মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ
বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ
কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ীসিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)
সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)
খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।
দাগ দূর করার টিপসকোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।
পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।
পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবেকাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।
কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।
লন্ড্রি পড ব্যবহার করলেছোট লোড: ১ পড
মাঝারি লোড: ২ পড
বড় লোড: ৩ পড
সূত্র: গুড হাউসকিপিং
আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে