চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবিতে আলো ছড়িয়েছেন তাসকিন আহমেদ, জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়। তাসকিন বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। জাকের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে রেখেছেন অবদান। তাওহীদ প্রথম ম্যাচে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ব্যক্তিগত এই নৈপূণ্য অবশ্য দলের কোনো কাজ আসেনি। আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে ব্যক্তিগত অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ছেলেদের র‌্যাংকিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

তাসকিন আহমেদ প্রথবার সেরা ত্রিশে জায়গা করে নিয়েছেন। দুই ম্যাচে তাসকিন ২ উইকেট পেয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে ৩৬ রানে ১ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। না হওয়ার হিসাবের মধ্যে তার বোলিংই ছিল যতটুকু আলোচনায়। তাতে ছয় ধাপ এগিয়ে ৩০ নম্বরে এসেছেন। ক্যারিয়ার সেরা ৫২৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এ অবস্থান ধরে রেখেছেন। এর আগে তার অবস্থান ছিল ৩৩ নম্বরে।

ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বড় লাফ দিয়েছেন তাওহীদ ও জাকের আলী। তাওহীদ ১৮ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৬৪ নম্বরে। জাকের ভারতের বিপক্ষে ৬৮ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫ রান করেন। তার অবস্থান ৯৪ নম্বরে। এছাড়া র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত (২৭), মুশফিকুর রহিম (৪২), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪৩) ও মিরাজ (৭৫)।

আরো পড়ুন:

‘ভারতের বি টিমের সঙ্গেও পারবে না পাকিস্তান’

বাংলাদেশের সামনে ৬ কোটি টাকার হাতছানি

বোলারদের র‌্যাংকিংয়ে মিরাজ এগিয়েছেন চার ধাপ। তাসকিনের সঙ্গে ৩০ নম্বর অবস্থানে আছেন ডানহাতি অফস্পিনার। মোস্তাফিজুর রহমান আছেন ৩৬ নম্বরে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে আছেন শুভমান গিল। দুই ম্যাচে রান পাওয়া এই ভারতীয় নিজের অবস্থান আরো শক্ত করেছেন।

এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া বিরাট কোহলি আবার সেরা পাঁচে এসেছেন। এছাড়া বোলিংয়ে শীর্ষে আছেন শ্রীলঙ্কান মাহিশ থিকসানা। অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে সেরা দশে কোনো পরিবর্তন নেই। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তান মোহাম্মদ নবী।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ