রোজায় নিত্যপণ্যের বাজার যেমন থাকতে পারে
Published: 28th, February 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে কেনাবেচা জমজমাট। ক্রেতাদের কেউ পুরো মাসের জন্য একসঙ্গে বাজার করছেন, কেউ আবার দু-এক সপ্তাহের জন্য কিনছেন তেল, ছোলা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা ধরনের পণ্য। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
রোজায় দাম বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় অনেকে আগেভাগে রোজার পণ্য কিনছেন। ক্রেতাদের অনেকেই বিক্রেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখছিলেন, রোজার মাসে তেল, ছোলা, পেঁয়াজের দাম বাড়বে কি না।
নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্সসহ অন্তত পাঁচটি খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন ছাড়া রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয়। অন্য সব পণ্যের দাম এখন নিম্নমুখী। দামে বড় ধরনের পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সরবরাহ ঠিকঠাক হলে সয়াবিন তেলও নির্ধারিত মূল্যে এসে যাবে।
সয়াবিনের হালচালগত চার মাসে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট বাজারে। গুটিকয়েক দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম চাওয়া হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। আবার এসব তেলের গায়ে নির্ধারিত মূল্যও মুছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মিলছে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের বাড়তি দাম আদায়ের প্রমাণও। এমন অবস্থায় রোজায় সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেক ক্রেতার।
সরেজমিন বহদ্দারহাট ঘুরে বোতলজাত সয়াবিন তেল দেখা যায়নি। কয়েকজন দোকানি বলেন, সবশেষ দুই দিন আগে সয়াবিন সরবরাহ হয়েছিল চাহিদার ১০ ভাগের ১ ভাগ। বাজারে খোলা তেলও এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকার আশপাশে। এর মধ্যে খোলা পাম লিটারপ্রতি ১৫৫ থেকে ১৬০ ও সুপারপাম ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বহদ্দারহাট বাজারের দোকানি মুহাম্মদ ফরিদুল হক বলেন, ‘আমরা ২০ কার্টন সয়াবিনের অর্ডার করে পাচ্ছি ২ কার্টন। সয়াবিনের সরবরাহ যদি স্বাভাবিক করা যায়, বাজারও স্বাভাবিক থাকবে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বাজারে গিয়ে সয়াবিনের মজুত পেয়েছি বেশ কয়েকটি দোকানে। সংকট অনেকটা কৃত্রিম।’
ছোলা-পেঁয়াজ সরবরাহ পর্যাপ্তরমজান মাসের প্রধান পণ্যের একটি ছোলা। এ বছর চাহিদার তুলনায় ছোলা আমদানি হয়েছে বেশি। তবে ডলারের বিনিময়মূল্য বাড়ার কারণে গতবারের তুলনায় এবার একটু বাড়তি দামে কিনতে হবে ছোলা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত আড়াই মাসে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) ১ লাখ ৬০ হাজার টনের বেশি ছোলা আমদানি হয়েছে। ফলে বাজারে ছোলার সংকট হবে না।
খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ছোলা ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত মাসেও প্রতি কেজিপ্রতি ছোলা ছিল ১১৫ টাকা। ছোলার পাশাপাশি মসুর ও মটর ডালের দামও কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। ভালো মানের আমদানি করা মসুর বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে। মোটা মসুর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে। মটর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি বাজারে বর্তমানে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ বাজার খাতুনগঞ্জেও পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪২ টাকা। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার আশপাশে, ভারতীয় পেঁয়াজ গড়ে ৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ছোলা ও ডালের বাজারও কমতির দিকে। বাজারে বেচাকেনা চলছে। ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সবজি ও মাংসের দাম যতএ বছর রবি মৌসুমে ব্যাপক সবজি উৎপাদনের কারণে রমজান মাসে সবজির দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো ও ক্ষীরার দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। এর মধ্যে শীতকাল থেকে এসব সবজির দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর চট্টগ্রামে রবি মৌসুমে ক্ষীরা, বেগুন, টমেটো ও অন্যান্য সবজির উৎপাদন বেড়েছে। এর মধ্যে শীতের সবজি (বেগুন, টমেটোসহ) উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার টন। অন্যদিকে ক্ষীরা ৯৭৮ টন, মরিচ ৫ হাজার ১৭৪ টন ও আলু ৩ হাজার ৬৮৩ টন উৎপাদন হয়েছে।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব সবজির দাম গড়ে ৪০ টাকার আশপাশে রয়েছে। কেজিপ্রতি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা দরে। অন্যদিকে ক্ষীরা ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ২০ থেকে ৩০, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৬০ ও আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়েছে লেবুর। মাস ব্যবধানে এক হালি (৪টি) লেবুর দাম অন্তত ২০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজার এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।
মুরগির বাজারে কেজিপ্রতি ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৮৫ ও সোনালি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা গড়ে বিক্রি হয়েছে। দর-কষাকষি করে ৩০০ টাকাতেও সোনালি মুরগি বিক্রি হতে দেখা গেছে। হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ ও শুধু মাংস ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দরে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।
মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।
সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়নটিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।
উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।
বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’
হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পানঅবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’
হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।
জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’
জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।
চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’
হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’