হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারে রমজান উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন
Published: 2nd, March 2025 GMT
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারে, পুরো মাসজুড়ে এক বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজন থাকছে। অ্যাটিটিউড রেস্টুরেন্টে প্রতিবারের মতো থাকছে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ইফতার ও সেহরি বুফে। এছাড়াও থাকছে হোয়াইট লোটাস রেস্টুরেন্টের বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত আকর্ষণীয় রামাদান ইফতার টেকওয়ে বক্স।
১২০টি’র বেশি ইফতারের আইটেমে থাকছে ঐতিহ্যবাহী, মেডিটেরিয়ান, কন্টিনেন্টাল ও আরব খাবার। যার মধ্যে রয়েছে আদানা কাবাব, ল্যাম্ব উজি, মাটন কাচ্চি, গ্রিলড প্রন, ফ্রাইড হিলশা, মাটন শিক কাবাব, মাটন হালিম, চিকেন হালিম, বিফ নেহারি, জিলাপি, বিফ কাবাব, বিভিন্ন স্বাদের টার্কিশ ও মধ্যপ্রাচ্যের কুনাফা, জেল মাহালাবা, ফ্রুট ট্রাফেল্ট, বাসবুসা, জাফরান জিলাপির মতো ডেজার্ট। সারা দিন রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতে থাকছে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস। চা প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ চা কর্নারও।
যারা বাসায় বসে হলিডে ইন-এর স্বাদ পরিবারবর্গ অথবা প্রিয়জনদের সাথে উপভোগ করতে চান, তাদের জন্যে হোয়াইট লোটাস ক্যাফেতে থাকছে ৪ রকমের আকর্ষণীয় ইফতার টেকওয়ে বক্স, যা আপনার রমজানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। হলিডে ইন সারা মাস জুড়ে রুম প্যাকেজ ছেড়েছে বিশেষ ছাড়ে।
বুফে ইফতার ও ডিনার এবং সাপ্তাহিক বুফে সেহরি ছাড়াও হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারে টেকওয়ে ইফতার বক্স পাওয়া যাবে। থাকছে কর্পোরেট কর্মকর্তাদের উপহারের জন্য রমজান সুইট ট্রিট গিফটের ব্যবস্থা।
একটি কিনলে একটি ফ্রি অর্থাৎ ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফারএ ১১টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এসব ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা এই অফারটি পাবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।
সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।
জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।