ঈদ উৎসব আরও জমজমাট করে তুলতে শীর্ষস্থানীয় ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড বাটা এনেছে নতুন কালেকশন। বাটা জানিয়েছে, ‘স্টারলাইট’ নামে অনন্য এই কালেকশনে দৃষ্টিনন্দন ও নতুন সব ডিজাইন রয়েছে; যা সৌন্দর্য ও স্বাচ্ছন্দ্য দুটিই নিশ্চিত করবে।
নারীদের জন্য রয়েছে ক্রিস্টাল ট্রেন্ডিং হিল থেকে শুরু করে আধুনিক আপারের আরামদায়ক স্যান্ডেল। পুরুষদের জন্যও থাকছে নানা রকমের ড্রেস শু, মোকাসিন, সামার স্যান্ডেল ও গরমকালের উপযোগী অন্যান্য ফ্যাশনেবল জুতা। পুরুষদের জন্য বিশেষ এক্সক্লুসিভ লেদার রেঞ্জ ঈদের উদযাপন আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবার সাধ্যের মধ্যে কিছু না কিছু রাখার চেষ্টা করে বাটা। তাই স্টারলাইট কালেকশনে পুরুষদের জুতার দাম থাকছে ৪৯৯ থেকে ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকার মধ্যে। নারীদের জুতার দাম ৪৯৯ থেকে ৫ হাজার ৯৯৯ টাকার মধ্যে এবং শিশুদের জুতার দাম থাকছে ৪৯৯ থেকে ৩ হাজার ৯৯৯ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ক্যাশব্যাক ও কুপন সুবিধাও দিচ্ছে বাটা।
এতে বলা হয়, বাটা রেড লেবেল, বাটা কমফিট, পাওয়ার, নর্থ স্টার, ওয়েনব্রেইনার, বাবলগামারস, হাশ-পাপিস এবং সোলের মতো ব্র্যান্ডের আইকনিক ঈদ কালেকশনের সঙ্গে ঈদে গ্রাহক পাবেন সেরা মান ও স্টাইল। বাটার প্রতিটি জুতাই সেরা ডিজাইন, উন্নত উপকরণ ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা হয়, যা সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। মেমোরি ফোম, অর্থোলাইট কুশনিং, লাইটওয়েট ফিচারের লাইফ অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যসহ ট্রেন্ডি সব জুতা নিয়ে এসেছে বাটা।
আড়াই হাজারের বেশি ডিজাইনের জুতার পাশাপাশি ঈদ সামনে রেখে বর্তমানে আরও ১ হাজারেরও বেশি নতুন ডিজাইনের জুতা যোগ হয়েছে বাটার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। অনলাইন ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দিতে এখন Batabd.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র জন য ক ল কশন ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।