বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
Published: 3rd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন প্রতীক অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট।
রোববার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কর্ণপাড়া এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, কারখানার কর্তৃপক্ষ ব্যাংক লেনদেনের জটিলতা দেখিয়ে শ্রমিকদের প্রায় চার মাস ধরে বেতন বন্ধ রাখে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেতন ও ওভারটাইমের পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত শ্রমিকদের বসিয়ে রেখেও বকেয়া বেতন দিতে ব্যর্থ হয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। রোববারও (২ মার্চ) বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা ছিল। এদিনও কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দেয়। এরপরই শ্রমিকরা বকেয়া বেতন ও ওভারটাইমের টাকা পরিশোধের দাবিতে মহাসড়কে নেমে আসেন।
এসময় ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলকারী যাত্রী-পথচারীরা।
এদিকে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, শ্রমিকরা গত জানুয়ারি মাসের বেতন পাবে বলে আমরা জানি। কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ (রোববার) বেতন পরিশোধের জন্য সকাল থেকে শ্রমিকদের আশ্বাস দেয়। ইফতারের পর শ্রমিকরা কারখানার সামনে এসে জানতে পারেন আজও তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে না। এরপর তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তিনি জানান, এক মাসের বেতন বকেয়ার কথা শুনেছি। চার মাসের অন্যান্য বকেয়া যেমন- ওভারটাইম ও টিফিনের বিল থাকতে পারে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে তুলে দেওয়া হয়।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: পর শ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।