পাবনার চাটমোহরে বাঙলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক নৈশপ্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

সাইদুল উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বাঙলা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাইদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন। তার মাথায় প্রায়ই প্রচণ্ড ব্যথা হতো, যা ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠেছিল। আজ দুপুরে মাথাব্যথা শুরু হলে তিনি স্ত্রীকে জানান যে, স্কুলে যাচ্ছেন। স্ত্রীর প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়েই তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।

ঘণ্টাখানেক পর স্কুলের অফিস সহকারী হাসান আলী দাপ্তরিক কাজে বিদ্যালয়ে যান এবং জানালা দিয়ে শ্রেণিকক্ষে সাইদুল ইসলামের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে নামিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ