বাস থেকে ফেলে অটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ
Published: 4th, March 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে মিনিবাস থেকে অটোরিকশা চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন নিহতের স্বজন ও সহকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নিহতের স্বজনরা। এসময় মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের অভিযোগ, ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে রিটন মিয়া নামে এক অটোরিকশা চালককে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও মহাসড়কে নিরাপদে যানচলাচলের দাবি জানান। সাড়ে ৩ ঘণ্টার অবরোধে মহাসড়কের দুদিকের অন্তত ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, অবরোধকারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় রিটন মিয়া নামের এক অটোরিকশা চালকের। কথা কাটাকাটির সময় হেলপারের ধাক্কায় বাস থেকে পড়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় অটোচালক ও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
নিহত অটোরিকশা চালক রিটন মিয়া গাজীপুর সদরের শিরির চালা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।