অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘সেক্রেড গেমস’-এ কুকুর চরিত্রে অভিনয় করেই রাতরাতি পরিচিত পান অভিনেত্রী কুবরা সেট। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালিখিতেও তাঁর পরিচিতি। বছর তিনেক আগে নিজের আত্মজীবনী লেখেন কুবরা। সেখানেই উঠে আসে তার জীবনের অজানা অনেক কথা।

আত্মজীবনীতে কুবরা স্বীকার করেন, ৩০ বয়সে গর্ভপাত করাতে হয়েছিল তাঁকে। যদিও এই ঘটনা মানুষ হিসেবে তাঁকে শক্তিশালী করেছে। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করেছে এই ঘটনা। কোনও অনুতাপ নেই অভিনেত্রীর।

২০১৩ সালে আন্দামান ঘুরতে যান অভিনেত্রী। সেখানেই স্কুবা ডাইভিং করেন। তারপর বেশ কয়েক পাত্র মদ্যপান করে এক বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন। তার দিনকয়েক বাদেই জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। জানার পর কষ্ট হয়েছে, হতাশা বোধ হয়েছে। তবে সেই সময় মা হওয়ার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। তাই বাধ্য হয়েই গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

সেই পুরুষ তাঁর প্রেমিকও ছিলেন না। মাত্র এক রাতের আলাপ। তাই গোটা বিষয়টিই তাঁকে একলা সামাল দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময় খুব হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। তবে একটা কথা বলতেই হবে, যা করেছি একা করেছি। কাউকে জানতে দিইনি। মানুষ হিসেবে বড্ড অপরাধবোধ হচ্ছিল কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। সিদ্ধান্তটা কঠিন ছিল তেমন নয়। আবার সেই সময় খুব যে শক্ত মনে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলাম তা নয়। তবে সে দিনের নেওয়া সিদ্ধান্তই যেন মানুষ হিসেবে দৃঢ়চেতা করেছে আমাকে।’ সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ই সময়

এছাড়াও পড়ুন:

২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে হত্যা করা ব্যক্তির ৫৩ বছরের কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৬ বছরের এক মার্কিন শিশুকে হত্যার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জোসেফ জুবা, বয়স ৭৩ বছর। ছোট্ট শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাউমিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার মা হানান শাহিনকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে মুসলিমবিদ্বেষ ০২ এপ্রিল ২০২৪

জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর শাহিন এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ। আদালত এ ঘটনাকে মুসলিমবিদ্বেষ থেকে ঘৃণাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর হানান এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ।

খাঁজকাটা প্রান্তের একটি সামরিক ছুরি দিয়ে ওয়াদেয়াকে ২৬ বার আঘাত করেছিলেন জোসেফ। ময়নাতদন্তের সময় ওয়াদেয়ার পেট থেকে ছুরির ৬ ইঞ্চি লম্বা ফলা বের করা হয়।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হানান শাহিন ও জোসেফের স্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) মেরি আদালতকে বলেছেন, গাজার সংঘাত নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠার পর জোসেফ মুসলিম পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনমুসলিমদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প?০৯ মার্চ ২০২৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০২৩ সালে জোসেফ জোর করে শাহিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ওই নারী কোনোমতে দৌড়ে শৌচাগারে ঢুকে দরজা আটকে পুলিশকে ফোন দেন। সে সময়ে জোসেফ ৬ বছরের ওয়াদেয়াকে আক্রমণ করেন।

খুন হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে নিজের ষষ্ঠ জন্মদিন উদ্‌যাপন করে ছোট্ট ওয়াদেয়া আল-ফাউমি

সম্পর্কিত নিবন্ধ