Samakal:
2025-11-03@02:23:08 GMT

পাসপোর্টে ভোগান্তি কমেছে

Published: 4th, March 2025 GMT

পাসপোর্টে ভোগান্তি কমেছে

পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন না থাকায় ভোগান্তি কমেছে আবেদনকারীদের। আগে মাসের পর মাস ঘুরতে হতো আবেদনকারী অনেককে। পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার পর তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হতো পুলিশের এসবি অফিসে। তথ্যের ঘাটতিসহ নানা অজুহাতে পুলিশ কালক্ষেপণ করছে– এমন অভিযোগ উঠত অহরহ।
তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই আবেদনকারীদের কাছ থেকে নেওয়া হতো ঘুষ। না দিলে আবেদনকারীর বিপক্ষে দেওয়া হতো প্রতিবেদন। এতে অনেকেই পড়তেন চরম ভোগান্তিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তদন্তের নামে বেড়াজালে আটকিয়ে আবেদনকারীদের ফেলা হতো নানা ধরনের হয়রানিতে। এখন ভেরিফিকেশন বা তদন্ত ছাড়াই যে কার্যক্রম চলছে, তা নাগরিকদের জন্য স্বস্তিদায়ক। পাসপোর্ট অফিসগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালন ও সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করলে সুফল পাবেন দেশের নাগরিক।
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এখন প্রাপ্তবয়স্কদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের জন্মসনদের তথ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। রাজধানীর বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বস্তির কথা জানা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, অপরাধ করে কেউ যেন বিদেশে পালানোর জন্য পাসপোর্ট না পায়, সে ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

সম্প্রতি উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমন দাসের সঙ্গে। নিজের পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে এসেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জমিদার টিলা। পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তদন্তের নামে যে হয়রানি করা হতো, সেটা এখন আর হবে না। আফতাবনগর পাসপোর্ট অফিসে পূর্ব রামপুরা থেকে তানভীর আহমেদ কবির আসেন তাঁর মেয়ের পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের তদন্ত দরকার আছে বলে আমি মনে করি। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনা উচিত। যারা নিরপরাধ তাদের যেন হয়রানি করা না হয়। হয়রানি কীভাবে বন্ধ করা যায়, সে বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।’
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে আবেদন করতে আসেন রনি দাস। সমকালকে তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে তিনি অফিসে পৌঁছান। পাসপোর্টের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার জন্য তাঁকে ১০৫ নম্বর কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে এনআইডি কার্ড জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, সার্ভার ডাউন। দুই ঘণ্টা পর ওই কক্ষে গেলে আবারও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর তিনি আবার গেলে তাঁর এনআইডির ভেরিফায়েড কপি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সহজে যাতে আবেদন ফরম জমা দেওয়া ও পাসপোর্ট পাওয়া যায়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে।

বছিলায় পাসপোর্ট অফিসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি বিভাগে মার্স্টাস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা রহমান আসেন নিজের পাসপোর্ট করতে। পুলিশি তদন্ত বাতিল বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে কোনো অপরাধী যেন পার পেয়ে না যায়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
পাসপোর্টের সেবা সহজীকরণে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম মো.

শহীদ খান সমকালকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ থাকলে সে ক্ষেত্রে আর পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হয় না। পুলিশের তদন্তের নামে যে জনহয়রানি ও ভোগান্তি, তা মোটেই কাম্য ছিল না। বর্তমান সরকার একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাসপোর্ট পাওয়া মানেই বিদেশে গমন নয়। পাসপোর্টে ভিসা থাকতে হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে যে তালিকা থাকে, সেই তালিকায় স্বীকৃত অপরাধীদের নাম থাকে। সেই অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করলে অপরাধীরা দেশের বাইরে যেতে পারবে না।

পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী গোলাম তৌসিফ সমকালকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুশাসন হিসেবেই নতুন পাসপোর্টের তদন্ত বাতিল করা হয়েছে। পাসপোর্ট পাওয়া দেশের নাগরিকের অধিকার।
এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পাসপোর্ট আবেদনকারীরা হয়রানির সম্মুখীন হতো। এতে অধিদপ্তরের সেবা সম্পর্কে আবেদনকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতো। তিনি বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া সুপার এক্সপ্রেস সার্ভিসের আওতায় যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। পাসপোর্ট সেবার ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল সম্পর্কে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। দেশের সব নাগরিককে অপরাধী ভাবা ঠিক না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিপক্ষে কথা বলেছি। এর আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নানা যুক্তি দেখিয়েছে। অবশেষে এ সরকার আমাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়েছে। দেশের নাগরিকরা এখন পুলিশি তদন্তের নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানি ছাড়াই পাসপোর্ট পাবেন। তিনি বলেন, এটা চিরস্থায়ী হতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের পাশাপাশি পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে সেবা সহজীকরণে দায়িত্বশীল হতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তদন ত র ন ম র তদন ত প রসঙ গ র জন য অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

ভর্তির দরকারি তারিখ—

১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।

২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।

৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।

ভর্তির যোগ্যতা—

১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd

ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —

১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।

২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।

৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।

প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—

১. দুই কপি ছবি।

২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।

ভর্তি ও অন্যান্য ফি—

অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,

রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,

কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,

একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,

ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,

পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,

প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,

মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।

বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।

২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।

৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।

# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
  • সঞ্চয়পত্র কেনার পর যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
  • সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১