মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর পরকীয়া প্রেমিকের কান কামড়িয়ে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা আহতাবস্থায় প্রেমিক শরিফুল ইসলামকে (২৫) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠায়। শরিফুল ইসলাম ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার হাজী আ.

ছাত্তারের ছেলে ও ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলার গোলাম মহিউদ্দিন নামের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে তার মায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে শরিফুলের। বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে গত মঙ্গলবার তার বাবার বাড়ি বাড়ৈখালীতে পাঠিয়ে দেন।

খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে বাড়ৈখালীতে গিয়ে উপস্থিত হন শরিফুল। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন ও মাথার চুল কেটে দেন। বিষয়টি ওই পুত্রবধূর শ্বশুর জানতে পেরে বিকেল ৫টার দিকে পুত্রবধূর বাড়ি বাড়ৈখালীতে যান।

এ সময় স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম তালুকদারের উপস্থিতিতে পুত্রবধূর শ্বশুর ক্ষিপ্ত হয়ে শরিফুলের ডান কান কামড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা শরিফুলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘‘শুনেছি আহত মাদ্রাসাশিক্ষক ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসা শেষে ভিকটিমের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ত রবধ র

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে

তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। 

কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।

এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। 

বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে। 

রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা। 

নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা। 

রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।

বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ