মক্কায় এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ওমরাহ পালনের রেকর্ড হয়েছে। গত বুধবার এক দিনে প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি ওমরাহ পালন করেছেন। মসজিদুল হারামের ভেতরে মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং ঝামেলাহীন চলাচল নিশ্চিত করতে উন্নত ভিড় ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদুল হারামের প্রধান প্রবেশপথে স্মার্ট সেন্সর এবং উন্নত ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি পর্যবেক্ষণব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সঙ্গে সঙ্গে বা রিয়েল-টাইমে মুসল্লিদের চলাচলের দিকে খেয়াল রাখা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ভিড় ব্যবস্থাপনা ঠিক করা।

মসজিদের প্রবেশপথে যে স্মার্ট ক্যামেরা বসানো হয়েছে তা প্রবেশকারীর চলাফেরা শনাক্ত করতে পারে। ফলে তাৎক্ষণিক ভিড় পর্যবেক্ষণ এবং সুনির্দিষ্ট ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই দ্বৈত ব্যবস্থায় সেন্সর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যামেরা সমন্বয় করা হয়েছে। মসজিদের ব্যাপক দর্শনার্থীর কথা ভেবে এই উদ্যোগকে ভিড় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলেছে, এআই প্রযুক্তি মসজিদের প্রবেশপথে মোতায়েন করা হয়েছে।

এর ভেতরের ভিড় পর্যবেক্ষণ এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরও উন্নত করার জন্য ধীরে ধীরে এর ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বার্ষিক ১ কোটি ৩৫ লাখ ওমরাহ পালনকারীর রেকর্ডের পর, ২০২৫ সালের ৬ মার্চ এক দিনে ওমরাহ পালনের এই সংখ্যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ র কর ড এক দ ন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ