মাগুরায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। এই ঘটনায় বিস্মিত গোটা দেশ। জড়িতদের উপযুক্ত বিচার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। অপরাধীদের শাস্তি চেয়ে সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে এফডিসি’তে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যরা।

শিল্পী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে সকল ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিল্পীরা।

সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমরা সবাই অবগত যে কী হয়েছে? কী ঘটেছে? এবং আমরা সবাই এই ব্যাপারে সোচ্চার যে আমরা কী করতে চাই, কী বলতে চাই। ওই চাওয়া-পাওয়ার মাঝখান থেকে আজ আবেগের বহিঃপ্রকাশ। আমরা কী চাই? আমরা চাই শিশু ধর্ষণসহ সকল ধর্ষণ ও নারীদের প্রতি সহিংসতার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক; যাতে অন্যরা এই ধরনের অপরাধ করার আগে একবার না, দশবার ভাবে। একইসঙ্গে, প্রমাণ সংগ্রহ ও তদন্ত প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে অপরাধীরা কোনোভাবেই রেহাই না পায়।’

শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগের কাছে আহ্বান জানাই, অনুরোধ জানাই শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করুন।’

বিএফডিসি’তে অনুষ্ঠিত ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশে মিশা সওদাগর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রোজিনা, ডিএ তায়েব, শিপন মিত্র, রুমানা ইসলাম মুক্তি, সনি রহমান প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ