শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করেছে সরকার। অর্থাৎ তাঁকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল করা হয়েছে। ২০০৩ সালে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর ৭ বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।

তবে এ বছরের চূড়ান্ত তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নাম নেই। এর আগে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছিল এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় এম এ জি ওসমানীর নাম আছে। এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে সমাজসেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে। ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (পপসম্রাট), শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর (বদরুদ্দীন উমর) এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।

২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। এই সাতজনের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি ছয়জনই মরণোত্তর এই পুরস্কার পাচ্ছেন।

অবশ্য, কয়েক দিন আগে সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণার পরপরই বদরুদ্দীন উমর বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, এই পুরস্কার গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে (মরণোত্তর) ২০০৩ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার পুরস্কার বাতিল করে সেই রায়ে তাঁকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা নেই। এ জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তাঁর স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করা হয়েছে।

সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা, স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনএবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৮ জন০৬ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বদর দ দ ন এম এ জ এই প র সরক র ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা

নব্বই দশকের শুরুতে বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। ১৭ বছর বয়সে রুপালি জগতে পা রেখেই দর্শক হৃদয় হরণ করেন এই অভিনেত্রী। নব্বই দশকে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীও কারিশমা।

২০০৩ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বলিউডের অন্যতম শীর্ষ নায়িকা কারিশমা কাপুর। শুরু হয় তার নতুন অধ্যায়। তবে ২০১৬ সালে চূড়ান্ত তিক্ততার মাধ্যমে এই সংসার জীবনের ইতি টানেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার মারা গেছেন কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়। ফলে আবারো আলোচনায় সঞ্জয়-কারিশমার দাম্পত্য জীবন। কেন ভেঙেছিল এই জুটির সংসার, তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

আরো পড়ুন:

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত অভিনেত্রী সানা

তারকাবহুল ‘হাউজফুল ৫’ কত টাকা আয় করল?

বলিউড লাইফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সঞ্জয় কাপুর অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের খরচ নিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করতেন। এরপর কারিশমা উপলদ্ধি করতে পারেন, ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ তারকা হওয়ার কারণে সঞ্জয় তাকে বিয়ে করেছেন; যাতে কারিশমার বদৌলতে আলোচনায় থাকতে পারেন তিনি। 

দিল্লিতে সঞ্জয়ের যে সার্কেল আছে, সেখানে কারিশমাকে ব্যবহার করাই সঞ্জয়ের গোপন লক্ষ্য ছিল। কারিশমাকে ব্যবহার করে খ্যাতি কুড়ানোরও চেষ্টা করেছিলেন সঞ্জয়। পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন কারিশমা। সর্বশেষ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন বলে এ প্রতিবেদনে জানানো হয়। 

ভাইরাল এনা টক ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কারিশমা কাপুর। এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমরা যখন হানিমুনে ছিলাম, তখন সঞ্জয় তার বন্ধুদের কাছে আমার দাম বলেছিল। এমনকি, সঞ্জয় আমাকে তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করেছিল। সঞ্জয় আমাকে অনেক মারধর করত, মুখে মেকআপ লাগিয়ে আঘাতের দাগ লুকাতাম। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন পুলিশে অভিযোগ করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না।”

সঞ্জয়ের সঙ্গে মেয়ে কারিশমার বিয়ে হোক তা চাননি অভিনেতা রণধীর কাপুর। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরেণ্য এই অভিনেতা বলেছিলেন, “আমাদের পরিচয় সবাই জানেন। আমরা কাপুর পরিবার! টাকার জন্য কারো কাছে যাওয়ার প্রয়োজন আমাদের নেই। আমরা কেবল টাকা নয়, মেধার আশীর্বাদে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারি। সঞ্জয় একজন থার্ড ক্লাস মানুষ।”

অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর অর্থাৎ ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী সঞ্জয়কে বিয়ে করেন কারিশমা কাপুর। এ অভিনেত্রীর প্রথম হলেও সঞ্জয়ের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৫ সালে তাদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় কন্যা সামাইরা। ২০১১ সালে এ দম্পতির কোলজুড়ে আসে পুত্র কিয়ান।   

২০১৪ সালে সমঝোতার মাধ্যমে ছাড়াছাড়ি জন্য মুম্বাই আদালতে আপিল করেন কারিশমা-সঞ্জয়। ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিচ্ছেদ নিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেন তারা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী, এ দম্পতির দুই সন্তান সামাইরা এবং কিয়ান তাদের মা কারিশমা কাপুরের সঙ্গেই থাকছেন। তবে বাবা সঞ্জয় ইচ্ছে করলেই সন্তানদের দেখতে যাওয়ার অনুমতি পান।

২০১৬ সালে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা প্রিয়া সাচদেবকে বিয়ে করেন সঞ্জয় কাপুর। ইন্ডিয়ান-আমেরিকা হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম চাটওয়ালের প্রাক্তন স্ত্রী প্রিয়া। সঞ্জয় ও প্রিয়ার প্রথম দেখা হয় নিউ ইয়র্কে। পাঁচ বছর প্রেম করে ঘরোয়াভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। তবে কারিশমা কাপুর আর বিয়ে করেননি। দুই সন্তান নিয়ে এখনো একা জীবনযাপন করছেন ৫০ বছরের এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা