সরকারবিরোধী জোটকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নেতারা। গতকাল সোমবার এ আলোচনা হয়।

পার্লামেন্টের ভেতরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে পিটিআইয়ের মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা ও জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার উপস্থিত ছিলেন। জেইউআই-এফের পক্ষে ছিলেন সিনেটর কামরান মুর্তজা ও জাতীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারি।

বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং আইনের শাসন ও সংবিধানকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বার্তা জেইউআই-এফ নেতাদের কাছে তুলে ধরেন সালমান আকরাম।

এ সময় দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন জেইউআই-এফ নেতা হায়দারি ও মুর্তজা। সরকারবিরোধী মহাজোট গঠনের আগে তাঁর উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরেন।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দল দুটির মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। তবে আলাপ-আলোচনা চললেও উল্লেখযোগ্য তেমন অগ্রগতি হয়নি। জোটে জেইউআই-এফের অংশগ্রহণের বিষয়টি এগিয়ে নিতে সম্প্রতি কায়সার ও মুর্তজাকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে তেহরিক তাহাফুজ আইন-ই-পাকিস্তান (টিটিএপি) নামে সরকারবিরোধী একটি জোট গঠন করে পিটিআই। ইতিমধ্যে এই জোটে জামায়াত-ই-ইসলামি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেঙ্গাল ও মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিনসহ কয়েকটি দল যোগ দিয়েছে।

গত জানুয়ারিতে সরকারবিরোধী জোট টিটিএপিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে ফজলুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে পিটিআই প্রতিনিধিদল।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ বৈঠকে জোটে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের শর্তগুলো তুলে ধরেন জেইউআই-এফ নেতারা। এর মধ্যে কিছু শর্ত রয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ