তোরে বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হইবে, ছাত্রদলের বাবলুকে বিএনপি নেতা
Published: 11th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদল নেতাকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এস এম বাবলুর সঙ্গে তাঁর এ-সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনায়েত এ কথোপকথন তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন।
সম্প্রতি কৃষকের তরমুজ লুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এনায়েতের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়।
এস এম বাবলু বলেন, ‘৯ মার্চ এনায়েত হোসেনকে বহিষ্কার করে রমিজ হাওলাদারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দলীয় কর্মী হিসেবে আমি নবনির্বাচিত সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই। ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন করে আমাকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন এনায়েত। দলীয় নেতাদের জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে বাবলুকে বিএনপি নেতা এনায়েত খান বলেছেন, ‘তুই অভিনন্দন জানাইছ কারে?’ বাবলু উত্তর দিতে গেলেই এনায়েত গালি দিয়ে বলেন, ‘তোর নাজিরপুর আওয়ার ক্ষমতা আছে? তুই পাঁচ বছরে নাজিরপুর আইতে পারলে আমার নাম ফিরাইয়া থুমু। তোরে তো ভাগেই পাইবে না কেউ। যে যে অভিনন্দন দিছে, ওই পোলারা একটাও এলাকায় আইতে পারবে না।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘তুই (বাবলু) যেই হানে আছো, তোরে ধইরা বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হবে?’
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?