পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদল নেতাকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এস এম বাবলুর সঙ্গে তাঁর এ-সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনায়েত এ কথোপকথন তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন।

সম্প্রতি কৃষকের তরমুজ লুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এনায়েতের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়।

এস এম বাবলু বলেন, ‘৯ মার্চ এনায়েত হোসেনকে বহিষ্কার করে রমিজ হাওলাদারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দলীয় কর্মী হিসেবে আমি নবনির্বাচিত সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই। ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন করে আমাকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন এনায়েত। দলীয় নেতাদের জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে বাবলুকে বিএনপি নেতা এনায়েত খান বলেছেন, ‘তুই অভিনন্দন জানাইছ কারে?’ বাবলু উত্তর দিতে গেলেই এনায়েত গালি দিয়ে বলেন, ‘তোর নাজিরপুর আওয়ার ক্ষমতা আছে? তুই পাঁচ বছরে নাজিরপুর আইতে পারলে আমার নাম ফিরাইয়া থুমু। তোরে তো ভাগেই পাইবে না কেউ। যে যে অভিনন্দন দিছে, ওই পোলারা একটাও এলাকায় আইতে পারবে না।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘তুই (বাবলু) যেই হানে আছো, তোরে ধইরা বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হবে?’

বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ