ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এবং আরও কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায়, সে জন্য সরকার আন্তরিক বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির ওপর বর্তায়। কোনো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।’

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা উল্লেখ করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সরকারবিরোধিতা কোনো ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ না উল্লেখ করে তিনি গণ-অভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খোঁজার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ অ্যাকটিভ (সক্রিয়) হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন; কিন্তু তাঁরাও পুলিশ ছাড়া একা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি অ্যাকটিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।’

পুলিশের মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়েছিল উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘কিন্তু জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়ার ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কীভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।’

যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে ‘মবের’ বিচারের মানসিকতা পরিত্যাগ করা উচিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান; কিন্তু নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়। 

হাইওয়ে পুলিশ  জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ। 

সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে। 

ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল। 

নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না। 

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ