জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড
Published: 16th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড বহন করায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে এ শোভযাত্রা শুরু হয়। এটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এ শোভাযাত্রায় কয়েকজনকে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম জানিয়েছেন, অনুমতি নিয়ে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। শোভাযাত্রার সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টাকালে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিসম্বলিত প্ল্যাকার্ড জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আর কে দাশ রুপু বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়েছে কি না, আমাদের জানা নেই। আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী