পর্যাপ্ত সমর্থন না পেয়ে ভোট যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনালদো
Published: 13th, March 2025 GMT
ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি হয়ে দেশটির ফুটবলকে চূড়ায় ফেরাতে চেয়েছিলেন রোনালদো নাজারিও। এ কারণে এবার সিবিএফ নির্বাচনে লড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল হঠাৎ ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন রোনালদো।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আঞ্চলিক ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থনের অভাবে ব্রাজিলের ফুটবল পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোনালদো।
ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ও দুবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই কিংবদন্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সিবিএফের আগামী নির্বাচনে আমি সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাহার করছি।’
৪৮ বছর বয়সী এই তারকা এরপর যা লিখেছেন, তাতে মিশে আছে অভিমান, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমন বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন যে (ব্রাজিলের) ফুটবল ভালো মানুষদের হাতেই আছে।’
আরও পড়ুন১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফেরার খবর যেভাবে পেলেন নেইমার০৭ মার্চ ২০২৫ব্রাজিলের ফুটবল ‘গভীর সংকটের’ মুখোমুখি হচ্ছে দাবি করে গত ডিসেম্বরে সিবিএফের শীর্ষ পদে দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন রোনালদো। এমনকি পেপ গার্দিওলাকে কোচ করে আনার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
কিন্তু ব্রাজিলের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী ২৭টি আঞ্চলিক ফেডারেশনের মধ্যে ২৩টিই নাকি তাঁর প্রস্তাব শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর পরিবর্তে ফেডারেশনগুলো জানিয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজকে সমর্থন দেবে।
২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময় পার করছে ব্রাজিল। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের পরপরই কোচের পদ ছাড়েন তিতে। এরপর নতুন কোচের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় সেলেসাওদের।
অভিমানেই কি নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রোনালদো নাজারিও.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।