প্রায় তিন বছরে ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন ‍যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য। এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা উঠে আসছে।

কিছুদিন আগেই যুক্তরাজ্যের দুই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে তাদেরকে মস্কো থেকে বহিষ্কার করে রাশিয়া। আর এবার এর পাল্টা জবাব হিসেবে, যুক্তরাজ্যে তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার এক কূটনীতিক ও তার স্ত্রীকে বহিষ্কার করেছে। খবর এপির।

যুক্তরাজ্য সরকার বুধবার (১২ মার্চ) জানিয়েছে, তারা এই সপ্তাহের শুরুতে মস্কোতে দুই ব্রিটিশ দূতাবাস কর্মীকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে একজন রাশিয়ান কূটনীতিক এবং তার স্ত্রীকে বহিষ্কার করেছে।

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় মস্কো যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অমান্য করলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে: ট্রাম্প

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কেলিনকে তলব করে বহিষ্কারের বিষয়টি অবহিত করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত বারো মাস ধরে রাশিয়া ব্রিটিশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক এবং সমন্বিত হয়রানি চালিয়েছে, তাদের কাজ সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, রাশিয়া এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে মস্কোতে ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, “আমরা ক্রেমলিনের ভীতি প্রদর্শনের অবিরাম এবং অগ্রহণযোগ্য প্রচারণা এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দেওয়ার তাদের বারবার প্রচেষ্টা সহ্য করব না।”

গত সোমবার (১০ মার্চ) যুক্তরাজ্যের দুই কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ দাবি করে, রাশিয়ায় অবস্থিত দুই ব্রিটিশ কূটনীতিক সেদেশে ঢোকার অনুমতি পাওয়ার পর মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাদের গুপ্তচরবৃত্তি ও ধ্বংসাত্মক কাজের আলামত মস্কোর হাতে রয়েছে, যা রাশিয়ার নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

রাশিয়ার এই পদক্ষেপ ৩ দিনের মধ্যে পাল্টা পদক্ষেপে জবাব দিল যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “রাশিয়া যে গভীরতায় ডুবে গেছে তা কেবল শক্তির মাধ্যমেই পূরণ করা যেতে পারে। আমরা এই ঘটনার অধীনে একটি রেখা টেনেছি এবং রাশিয়াকে একই কাজ করার দাবি জানাচ্ছি। রাশিয়ার দ্বারা গৃহীত পরবর্তী যেকোনো পদক্ষেপকে উত্তেজনা বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা ক্রমশ সাধারণ হয়ে উঠেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক টন ত ক পদক ষ প

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে আরেকজনের মৃত্যুদণ্ড

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বাবাক শাহবাজি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। আজ বুধবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা ও তাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান।

আরও পড়ুনইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে গ্রেপ্তার ৮৩০ আগস্ট ২০২৫

এ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ইরানে এ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অভিযুক্ত অন্তত নয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবাক শাহবাজি ২০২২ সালের শুরু থেকে আরেক গুপ্তচর ইসমাইল ফেকরির সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন। ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে চলতি বছরের জুনে ইসমাইল ফেকরিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও তিনজনকে ফাঁসি দিল ইরান২৫ জুন ২০২৫

বাবাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র স্থাপনের কাজ করতেন। এ কাজের সুযোগ নিয়ে তিনি নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেমন সার্ভার রুম এবং সামরিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ইরানি কেন্দ্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন।

আসামির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আপিলের আবেদন করেছিলেন। তবে সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনইসরায়েলি গুপ্তচরদের সঙ্গে আরও যাঁরা ইরানকে দুর্বল করছেন২৬ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে আরেকজনের মৃত্যুদণ্ড