রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। আজ বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বেলা সাড়ে তিনটায় তাঁকে বনানী কবরস্থানে স্ত্রী নিলুফার মঞ্জুরের কবরে দাফন করা হয়।

উপস্থিত আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দাফনকাজে অংশ নেন। এ সময় মঞ্জুর এলাহীর ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর নিজ হাতে বাবাকে কবরে শায়িত করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে একে একে তাঁর সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা কবরে মাটি দিয়ে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করেন।

সকালে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম জানাজার পর দুপুরে গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমার বাবা এই দেশটাকে বেশি ভালোবাসতেন। ওনার শেষ কথাগুলোর মধ্যে একটি ছিল—সবার আগে দেশ। আমার বাবা যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনারা তাঁকে ক্ষমতা করে দেবেন।’

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ‘বাবা নিজেকে কখনো ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতে চাননি। তিনি বলতেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই। আপনারা দোয়া করবেন, আমরা যেন ওনার সেই পথ অনুসরণ করতে পারি। আপনারা তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী; বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, অভিনেতা তারিক আনামসহ তাঁর সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আরাকান আর্মি: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন
  • দুই ভাইয়ের গ্রেপ্তারের খবর ‘বিশ্বাস করতে পারছেন না’ বাবা
  • ফেনীতে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, দর্জি নিহত