আইপিএলে হ্যারি ব্রুক দুই বছর নিষিদ্ধ
Published: 13th, March 2025 GMT
ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুককে দুই বছরের জন্য আইপিএলে নিষিদ্ধ করেছে বিসিসিআই। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার খবরটি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অবশ্য অনুমিতই ছিল। ২৬ বছর বয়সী ব্রুক গত রোববার জানান, ব্যক্তিগত কারণে এবারের আইপিএলে খেলতে পারবেন না। আগামী ২২ মার্চ আইপিএলের আঠারোতম আসর শুরু হওয়ার কথা।
এবারের আইপিএল নিলামে ব্রুককে সোয়া ৬ কোটি রুপিতে কিনেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। একই ফ্র্যাঞ্চাইজি ২০২৪ সালে তাঁকে ৪ কোটি রুপিতে কিনেছিল, সে বারও তিনি খেলেননি। প্রথমবার না খেলার পেছনে দাদির মৃত্যুতে দেশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এবার না খেলার বিষয়ে দেখিয়েছেন জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ততা।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ২০২৬ ও ২০২৭ আইপিএলের নিলামে ব্রুক অংশ নিতে পারবেন না মর্মে ইসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।হ্যারি ব্রুকের আগে ইংল্যান্ডের জেসন রয়, মার্ক উড, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পার মতো খেলোয়াড়েরাও আইপিএল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ২০২৫ আসর থেকে কঠোর নিয়মের পথে হাঁটছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুনভারত নেই বলে লর্ডসের লোকসান ৬৩ কোটি টাকা১ ঘণ্টা আগেকোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়া বা শুধু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কোনো বিদেশি না খেলার সিদ্ধান্ত নিলে আইপিএলে দুই মৌসুমের জন্য নিষেধাজ্ঞার নিয়ম করা হয়েছে। এবার সেটিই প্রয়োগ করা হয়েছে ব্রুকের ক্ষেত্রে।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ২০২৬ ও ২০২৭ আইপিএলের নিলামে ব্রুক অংশ নিতে পারবেন না মর্মে ইসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবারের আইপিএলে উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স ইডেন গার্ডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।