কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নিলেন জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার তিনি তার শেষ কার্যদিবসে একটি বিদায়ী ভিডিও পোস্ট করেছেন।
জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালের শরৎকালে লিবারেল নেতা হিসেবে তার প্রথম নির্বাচন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে কানাডার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থির সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়কালে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে মোকাবিলা, কোভিড-১৯ মহামারি এবং কানাডার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। ট্রুডো কানাডায় ফেডারেলভাবে গাঁজা বৈধ করেছেন এবং নিম্ন আয়ের কানাডিয়ানদের জন্য দৈনিক ১০ ডলার শিশু যত্ন এবং জাতীয় দন্তচিকিৎসা কর্মসূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কর্মসূচি চালু করেছিলেন।
বিদায়ী ভিডিওতে ট্রুডো বলেছেন, “আমি এমন একটি দেশের সেবা করতে পেরে গর্বিত যেখানে এমন মানুষ আছেন যারা সঠিক কাজের পক্ষে দাঁড়ান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যান এবং যখনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় তখন একে অপরের পাশে থাকেন। হয়তো এই অফিসে আমার শেষ দিন, কিন্তু আমি সবসময়য় সাহসী এবং নিঃসন্দেহে কানাডিয়ান থাকব। আমার একটাই অনুরোধ, পৃথিবী আমাদের উপর যাই ছুঁড়ে ফেলুক না কেন, আপনারা সবসময় একতাবদ্ধ থাকবেন।”
গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। জনমত জরিপে দলের বাজে অবস্থা উঠে আসার পর দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রুডোর ক্ষমতা আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে তার ওপর।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।