তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু
Published: 15th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে তরমুজ বোঝাই ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। এসময় ডাকাতরা আটজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজনদের গণপিটুনিতে এক ডাকাত মারা যায়।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি তারা।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) মধ্যরাতে তেঁতুলিয়া নদীতে ডাকাতি ও গনপিটুনির ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
মাগুরায় ঘুমিয়ে গেল আছিয়া, জাগিয়ে গেল দেশ
মাগুরায় সেই শিশুর মৃত্যু
আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাতে তেঁতুলিয়া নদীর তালতলা পয়েন্টে ৭-৮ জন ডাকাত একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে ১০ হাজার পিস তরমুজ বোঝাই একটি ট্রলারের পিছু নেয়। ধাওয়া করে তারা ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে ট্রলারটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। ডাকাতরা ট্রলারে থাকা আটজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় এক ব্যক্তি সাহসিকতার সঙ্গে এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। আতঙ্কিত হয়ে ডাকাত দল দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা চিৎকার শুনে জড়ো হন এবং আটক ডাকাতকে গণপিটুনি দেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতসহ অন্য আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হওয়ায় ডাকাতকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান।
বাউফল থানার ওসি মো.
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আহত ব উফল
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের আটজনকে হারানোর স্মৃতি এখনো ভোলেননি মরিয়ম-কালাম দম্পতি
১৯৯১–এর ঘূর্ণিঝড়ে নিজেদের এক মেয়েসহ পরিবারের আটজন সদস্যকে হারান আবুল কালাম ও মরিয়ম বেগম দম্পতি। ৩৪ বছর পরও এখনো ভয়াল সেই স্মৃতি ভুলতে পারেননি তাঁরা। এখনো ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে পড়লে দুজন আঁতকে ওঠেন।
আবুল কালাম ও মরিয়ম বেগম চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের হাজি চাঁদ মিয়া মাঝির বাড়ির বাসিন্দা। গতকাল সোমবার বাড়িতে গিয়ে দেখা হয় দুজনের সঙ্গে। আবুল কালাম ২০১৮ সালে অসুস্থ হয়ে বাক্শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। অবশ হয়ে যায় তাঁর দুটি হাতও। তিনি কথা বলতে না পারায় মরিয়ম বেগম ঘটনার বর্ণনা করেন।
মরিয়ম জানান, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁর স্বামী, এক কন্যা, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে যে যাঁর মতো ছুটতে থাকেন। সকালে মরিয়ম দেখেন, চারপাশে শুধু লাশ আর লাশ। পরনের কাপড় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজন স্বজনদের খুঁজতে থাকেন। ঘরের ভেতরেই পান তাঁর মেয়ে, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেবরসহ পরিবারের ছয় সদস্যের লাশ। পরিবারের আরও দুই সদস্যের সন্ধান আর পাননি। মরিয়ম বলেন, ‘সব কটি লাশ মাটি খুঁড়ে এক কাপড়ে দাফন করা হয়। কাফনের কাপড় ছাড়া লাশগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়।’
নিজের এক মেয়েকে কীভাবে রক্ষা করেন, সেই বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ে তানজিনার বয়স তখন চার বছর। তার পরনের কাপড় দাঁতে চেপে ধরে তাকে নিয়ে গাছে উঠে যাই। তখন মনে হয়েছিল, মেয়ে বুঝি মারা গেছে। তবে মেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল’। মরিয়ম আরও বলেন, ‘এরপর ৩৪ বছর কেটে গেছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি, আরেক ছেলের জন্য কনে খুঁজছি। তবু সেই দিনগুলোর কথা ভুলতে পারি না।’
আনোয়ারা উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কারণে এখনো জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানির ঝুঁকি রয়ে গেছে