এবার ভারতীয় নারী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
Published: 16th, March 2025 GMT
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার অবৈধ অভিবাসীদের জন্য তৈরি করা নতুন অ্যাপ ব্যবহার করে ভারতে ফিরে যান তিনি।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) শুক্রবার জানিয়েছে, রঞ্জনী শ্রীনিবাসন একজন ভারতীয় নাগরিক। তিনি শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় ইসারয়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন তিনি। হামাস একটি নির্ধারিত সন্ত্রাসী সংগঠন। এর প্রতি সমর্থনের কারণে পররাষ্ট্রদপ্তর তার শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে।
ডিএইচএস নিশ্চিত করেছে, যে মঙ্গলবার শ্রীনিবাসন সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। এই নতুন অ্যাপে অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের জন্য একটি বিশেষ ফিচার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম শুক্রবার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও পড়াশোনার জন্য ভিসা পাওয়া একটি বিশেষ অধিকার। যখন কেউ সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তখন সেই অধিকার বাতিল হওয়া উচিত এবং তাদের এই দেশে থাকার অনুমতি থাকা উচিত নয়।’
নোম আরও বলেন, ‘আমি খুশি যে, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সন্ত্রাসবাদ সহানুভূতিশীল ব্যক্তি সিবিপি হোম অ্যাপ ব্যবহার করে নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন।’
ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বাইডেন-যুগের সিবিপি হোম অ্যাপ বাতিল করে। যা বিদেশি নাগরিকদের ব্যাপকভাবে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করার অনুমতি দিত। প্রশাসন পরে এটি নতুনভাবে ব্র্যান্ড করে সিবিপি হোম অ্যাপ হিসেবে চালু করে। যা এখন অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের ইচ্ছার তথ্য জমা দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শ্রীনিবাসনের স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের ঘটনা ঘটে এমন এক সময়ে যখন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যান্টি-ইসরায়েল বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান নেতা সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা মাহমুদ খলিলকে গত ৮ মার্চ অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) সংস্থা গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে রয়েছেন এবং তার বহিষ্কার সংক্রান্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
শ্রীনিবাসন ও খলিল উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হওয়া সহিংস বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে কলাম্বিয়া কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্ক পুলিশকে ডাকতে বাধ্য হয়। অ্যান্টি-ইসরায়েল আন্দোলনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের সম্পত্তি দখল, ইহুদি ছাত্রদের হয়রানি এবং হামাসপন্থি প্রচারসামগ্রী বিতরণ করার অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভগুলো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ ছিল। যা ৭ অক্টোবর হামাস সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যান্টি-সেমিটিক ও উগ্র ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অ্যান্টি-সেমিটিজম মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ট্রাম্প প্রশাসন মার্চ মাসে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল বাতিল করে। কারণ, তারা ক্যাম্পাসে অ্যান্টি-সেমিটিক কার্যকলাপ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। হোয়াইট হাউসের চাপে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এখন আগ্রাসী আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যার মধ্যে বহুবর্ষের সাসপেনশন, সাময়িকভাবে ডিগ্রি বাতিল এবং সম্পূর্ণ বহিষ্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। খলিল একমাত্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী নন, যাকে অভিবাসন কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছেন।
ডিএইচএস শুক্রবার জানিয়েছে, নিউ জার্সির নিউয়ার্ক থেকে আইসিই এজেন্টরা লেকা কোরদিয়া নামে এক ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে এসেছিলেন এবং তার মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।
জানুয়ারি ২০২২ সালে উপস্থিতির অভাবে তার শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করা হলেও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কলম্বিয়ার ক্যাম্পাসে প্রো-হামাস কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব যবহ র কর কল ম ব য ব ত ল কর কলম ব য র জন য ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে