মসজিদের চাঁদা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৮
Published: 16th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ছোট সগুনা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজাহার আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। মসজিদের উন্নয়নের চাঁদা ধার্য নিয়ে শনিবার রাতে গ্রামের আলাউদ্দিন আহমেদ এবং কারিমুল পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছোট সগুনা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত আজাহার আলীর ছেলে রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার ইফতারের সময় গ্রামের মসজিদের উন্নয়নের জন্য চাঁদা ধার্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ লাঠি, বর্শা ও লোহার রড নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আজাহার আলীসহ ৯ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেজিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজাহার আলী। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পর একপক্ষ গাঁ ঢাকা দেওয়ায় এবং অপরপক্ষ লাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি মামলার প্রস্তুতি নেওয়ায় কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স ঘর ষ ন হত আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব